দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়ি বাঁধ সড়কের দু’পাশ ঝোপঝাড়ে ঢাকা পড়েছে। কোথাও কোথাও সড়কের ওপর চলে এসেছে বিভিন্ন গাছ ও লতাপাতা। সড়কের দুই পাশে কোনো জায়গা খালি নেই। মূল সড়ক দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। যানবাহন এলে পথচারীদের সরে দাঁড়ানোর জায়গাও থাকে না।
ঝোপঝাড়ের কারণে সড়কে বাঁকের উল্টো দিক থেকে কোনো পরিবহন আসছে কি না তাও দেখার সুযোগ নেই। ফলে প্রায় ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে বৃষ্টির কারণে ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে জেলা সড়ক বিভাগ।
সড়কে দেখা যায়, সড়কের দু’পাশে ঝোপঝাড় গজিয়ে জঙ্গলের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনগুলো চলাচল করছে প্রায় গা-ঘেঁষে। কয়েকটি অংশে গাড়ি চালাতে গিয়ে এক পাশ থেকে অন্য পাশ দেখা যায় না। বেশ কিছু অংশ জুড়ে সড়কে নুয়ে পড়েছে গাছ-লতাপাতা। জঙ্গল গজিয়ে উঠায় অসুবিধা হতে দেখা যায় যান-চলাচলে। ঝোপঝাড় থেকে নিরাপদ দূরত্বে চলতে গিয়ে প্রায় ঘেঁষাঘেঁষি করে চলছে বড় যানবাহন। সড়কের বেশ কয়েকটি জায়গায় গাড়ি চালাতে গিয়ে একপাশ থেকে রাস্তার অন্য পাশ দেখা যায় না। ফলে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। সড়কের দুই পাশে আগাছা ও বিভিন্ন গাছের ডালপালায় ছেয়ে গেছে সড়ক। বিশেষ করে বাঁকানো মোড়গুলোতে এই সড়কের মোড়গুলোতে চলাচল করা খুবই দুরূহ। স্থানীয় বাসিন্দা বিউটি বেড়ম, সেলিম মিয়া জানান, সড়কে চলার অংশ জঙ্গলে ছেয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যানবাহন এলে সরে দাঁড়ানোর জায়গাও পাওয়া যায় না।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের ঝোপঝাড় জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। পথচারীদেরও হাঁটার কোনো জায়গা নেই। ঝোপঝাড়ের কারণে প্রায় দুর্ঘটনার ঘটছে।
মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেন, উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সড়কের গাছ কেটে পরিস্কার করে দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান বলেন, এ সড়কের দু’ধারের ছোট ছোট গাছ বেড়ে সড়কের ওপরে উঠে এসেছে। পথচারীরা প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া সড়কের অনেক জায়গায় বাঁক থাকায় অপর দিক থেকে গাড়ি দেখা যায় না। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটে।
অটো চালক সফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কের দু’পাশে ঝোপঝাড় থাকায় আমাদের অটো চালাতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। পথচারীদেরও হাঁটার কোনো জায়গা নেই। সড়কের ওপর দিয়ে পথচারীরা হাঁটা চলা করেন। দিনের বেলায় ঝোপঝাড় থেকে গরু ছাগল হঠাৎ এসে সামনে পড়ে। ফলে তখন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সড়ক বিভাগের চাঁদপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামসুজ্জোহা বলেন, এই সড়কের দু’পাশে ঝোপঝাড় বৃষ্টির জন্য কেটে পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। আমরা দ্রুত পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছি। জেলার কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে।