“শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূর করুন”-এ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির প্রথম জাতীয় সম্মেলন আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় আলোচনা সভা মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. মতিউর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক সোহরাব হাসান, শিক্ষাবার্তার সম্পাদক এ. এন রাশেদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি সরদার আবুল বাশার, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহিনুর আলম খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক মো. বিলাল হোসেন, সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহবায়ক ও ঢাকা মহানগরের আহবায়ক মোহাম্মদ ইয়াছিন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি অমৃত কারণ।
উদ্বোধক অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষকরা হলো বাল্যকালের ছাত্রদের শিক্ষক। মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষকদের যথেষ্ট খাবার নেই,যথেষ্ট পুষ্টি নেই, তাই পাঠদান করবে কিভাবে? শিক্ষকরা ভালো না থাকলে পাঠদান ভালো হয় না।
তিনি আরও বলেন, তাই বেসরকারি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ। এ দাবি সরকারের মেনে নেয়া উচিৎ।
আলোচনা সভায় সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, যে জাতি শিক্ষকের মর্যাদা দিতে জানে না সে জাতি বড় হতে পারে না। আপনাদের এ চাহিদা ন্যূনতম। সে দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে শিক্ষকদের পাওনা দিতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চেয়ে বেশি বেতন পেয়ে থাকেন তাহলে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা কেন বেশি বেতন পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, কুদরাৎ ই খুদা কমিশন বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১০ সালের শিক্ষা কমিশনও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। শিক্ষকরাই অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলনের পাশাপাশি শিক্ষা উন্নয়নের আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে পারে। এরপর দুপুর ২টায় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে জাহাঙ্গীর হোসেনকে সভাপতি ও নূরে আলম বিপ্লবকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।