চাঁদপুর পৌর এলাকায় এডিস মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করা এবং এর প্রাদুর্ভাব কমানোর লক্ষে আরও উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন জানিয়ে একযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাঁদপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আল আমিন ফয়সাল এবং সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ মোঃ হাবিব।
২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ঃ৩০ ঘটিকায় চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘সুখ্যাত ইলিশের শহর আমাদের এই চাঁদপুর, কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, চাঁদপুর পৌর এলাকায় এডিস মশার কারনে জনদুর্ভোগ ক্রমশ বেড়েই চলছে। বিশেষ করে শহরের নাজিরপাড়া, হাজি মহসিন রোড, প্রফেসর পাড়া, মোমিন পাড়া, আদালত পাড়া, চেয়ারম্যান ঘাট, ওয়ারলেস বাজার মোড়, বাবুরহাট যেখানে ময়লা আবর্জনা ও পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায়, সেখানে আশংকাজনকভাবে এডিস মশার বংশ বিস্তার বেড়েই চলছে। এর কারণ হিসেবে সাধারণ মানুষ মনে করে যে, পানি নিয়মিত নিষ্কাশন না হওয়া, ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকা, বাড়িতে ফুলের টপের ভিতরে পানি আটকে থাকা, তিন দিনের অধিক বৃষ্টির পানি আটকে পড়ার কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করছে।
ইতিমধ্যে চাঁদপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নারী ও শিশুদের আক্রান্তের হার বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে যা এলাকাবাসীর মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে। আমাদের যৌথভাবে চিহ্নিত সমস্যাটি পৌর এলাকায় গণস্বাক্ষর ক্যাম্পেইন পরিচালনা করি এবং ৪০০ এর অধিক স্বাক্ষর সংগ্রহ করি। অতপর তা গণস্বাক্ষর সহ একটি স্মারকলিপি মাননীয় পৌর মেয়র মহোদয় বরাবর জমা দেই।’
পৌর মেয়র এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন এই সমস্যাটি আরো দ্রুততার সাথে মোকাবেলা করতে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। চাঁদপুর পৌর এলাকার প্রায় সকল ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রনের লক্ষে কার্যক্রম চলমান আছে। তবে বর্তমানে মহামারী তুল্য এই সমস্যা সমাধানে মশক নিধন কার্যক্রমটি আরও জোরদার করার জন্য এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌর প্যানেল মেয়র ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের প্রকাশনা সম্পাদক আবু নাছের পাটোয়ারী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক মনির চৌধুরী প্রমখ।
পরে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, চাঁদপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আঙ্গিনায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।