চাঁদপুর সদর উপজেলা আশিকাটি ইউনিয়ন সরকারি নীতি না মেনেই হোল্ডিং এসেসম্যান্ট ও নাম্বার প্লেট স্থাপন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০০৯ সালের স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের আইনকে না মেনেই চেয়ারম্যান নিজের ক্ষমতা বলে একটি বেসরকারি কোম্পানি দিয়ে হোল্ডিং এসেসম্যান্ট ও প্লেট নাম্বার শুরু করার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে মাইকিং করেছে। বেসরকারি এনজিও সংস্থা এগ্রোস প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড দিয়ে হোল্ডিং ট্যাক্্র আদায়ের জন্য প্রক্রিয়া করে ট্যাক্্র আদায়ে শুরু করছে। ট্যাক্্র আদায়ের বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেরই অবগত না বলে জানা গেছে। এ নিয়ে পরিষদের সদস্যদের মাঝে ও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি -১ অধিশাখা উপ সচিব মোঃ মাহবুবুর রহমান ৩০-১১-২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত নথি নং ৪৬,০০,০০০০,০১৭,০১৩,১৬,৯৬৪ স্মারকে বলা হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে গত ২০১২ সালে যার স্মারক নং স্থাসবি / ইপ/ বিবিধ-১/ ২০১০/৩৮ পত্রে উল্লেখ আছে যে, ইউনিয়ন পর্যায়ার প্রতিটি গ্রাম হতে কর (ট্যাক্স) সংগ্রহ ও আদায়ের লক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি হোল্ডিং অ্যাসেসমেন্ট ও নাম্বার প্লেট স্থাপনের প্রয়োজনের বিবেচিত হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহনক্রমে বাড়ি বাড়ি হোল্ডিং অ্যাসেসমেন্ট ও নাম্বার প্লেট স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারে। যদি কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ট্যাক্স আদায়ক্রমে ইউনিয়ন পরিষদকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে হোল্ডিং নাম্বার প্লেট স্থাপনে আগ্রহী হয় সে ক্ষেত্রে তাদের আবশ্যিকভাবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর আবেদন করতে হবে।
এমতাবস্থায় স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এ কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে হোল্ডিংস অ্যাসেসমেন্ট ও নাম্বার প্লেট প্রদানের সুযোগ নেই বিধায় স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে গত ২০১২ সালে জারিকৃত স্মারক স্থাসবি / ইপ/ বিবিধ-১/ ২০১০/৩৮ এতদ্বারা নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।
সরকার যেখানে কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে হোল্ডিং এসেসম্যান্ট ও নাম্বার প্লেট স্থাপন করা নিষেধ করেছে, সেখানে আশিকাটি ইউনিয়ন কিভাবে নতুন করে গত শনিবার হোল্ডিং এসেসম্যান্ট ও নাম্বার প্লেট স্থাপন করার জন্য ইউনিয়ন ব্যাপী মাইকিং করেছে। চেয়ারম্যান নিজের ক্ষমতা বলে হোল্ডিং এসেসম্যান্ট ও নাম্বার প্লেট স্থাপন করা কতটুকু আইনগত অধিকার রাখে এমনটাই সকলের মুখে মুখে শুনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আশিকাটি ইউপি কয়েকজন সদস্য না প্রকার না করার সত্ত্বে বলেন, চেয়ারম্যান কোন প্রকার মিটিং ছাড়াই নিজের মত করে হোল্ডিং এসেসম্যান্ট ও নাম্বার প্লেট স্থাপন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। উত্তোলনকৃত টাকা কিভাবে ক্যাশ মেন্টেইন হবে, সে বিষয়ে অনেকের অবগত নেই বলেজানান।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারীর বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করে তা পাওয়া যায়নি। সরকারি নীতিমালা মেনে হোল্ডিং এসেসম্যান্ট ও নাম্বার প্লেট স্থাপন করার জন্য ইউনিয়নবাসী উপজেলা প্রশাসনহর জেলা প্রশাসন হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।