প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়া চাঁদপুরের রাব্বিকে প্রথম শিক্ষা সহায়তার চেক প্রদান করা হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাব্বিকে প্রথম শিক্ষা সহায়তা চেক প্রদান করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছর গত ১৫ জুলাই ২০২৩ জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিউট ও হাসপাতালে সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখের চিকিৎসা নেন। হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় তিনি চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীসহ সকলের সঙ্গে কৃশল বিনিময় করেন।
এ সময় ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট রাবির দিকে চোখ পড়ে প্রধানমন্ত্রীর। রাব্বির কাছে গিয়ে জানতে চান কী করে সে, কার সঙ্গে হাসপাতালে এসেছে, কোন ক্লাসে পড়ে। ১১ বছর বয়সী রাব্বি জানায়, সে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে, সেখানেই থাকে। তার বাবা মারা গেছেন। মা রাবেয়া বেগম সুতার কারখানায় কাজ করত। এখন চাঁদপুরে রামদাসনি। আশ্রয়ন এর ৮/৩ নং ঘরে থাকে। সৎ বাবা জাহাঙ্গীর আলম দিন মজুর। ছোট্ট শিশুটি প্রধানমন্ত্রীকে বলে, ‘আমি চাঁদপুরে মায়ের কাছে যেতে চাই। আবার পড়াশোনা করতে চাই।” এসময় প্রধানমন্ত্রী রাব্বির কথা শুনে আবেগাপ্লুত হন। তিনি রাব্বির দায়িত্ব নেন। সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক চাঁদপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান একটি গাড়ি পাঠিয়েূ রাব্বিকে চাঁদপুরে তার মায়ের কাছে নিয়ে আসেন। রাব্বির মা রাবেয়া বেগম এর নামে একটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে একটি ঘর প্রদান করা হয়েছে। আশ্রয়নের পাশেই দার বাদশা মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাব্বিকে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়েছে, এবং একজন সহকারী শিক্ষককে রাব্বির প্রাইভেট টিউটর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে, রাব্বিকে ২ সেট জামা ও প্যান্ট, ১টি স্কুল ব্যাগ, ১ টি ওয়াটার বন, ১ জোড়া জুতা ও মোজা প্রদান করা হয়েছে।
তাছাড়া ভবিষ্যতে যেন অর্থের অভাবে রাবীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে না যায় সেজন্য চাঁদপুর-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী, ডা. দীপু মনি এমপি, চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গনি পাটওয়ারী এবং মান্যবর জেলা প্রশাসকের আর্থিক সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চাঁদপুর সদর এবং রাব্বীর মায়ের যৌথ স্বাক্ষরে সোনালী ব্যাংকে রাব্বির জন্য ৫ লক্ষ টাকার একটি ডিপোজিট এবং একটি সঞ্জয়ী হিসাব খোলা হয়। । সেখান থেকে রাব্বি প্রতিমাসে প্রায় ৪৫০০ টাকা লভ্যাংশ পাবে। এই টাকা দিয়েই তার লেখা পড়া এগিয়ে যাবে। রাব্বির উচ্চ শিক্ষা শেষ হলে তার কর্মসংস্থানের জন্য এই ফান্ড ব্যবহার করা হবে।