ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্স ও ইন্টার্ন মিডওয়াইফদের ইন্টার্ন ভাতার দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ইন্টার্ন নার্স ও ইন্টার্ন মিডওয়াইফরা।
১ অক্টোবর রোববার বেলা ১১টার সারা দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এসময় ইন্টার্ন নার্স ও ইন্টার্ন মিডওয়াইফরা কর্মবিরতির মধ্যদিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করে।
কর্মবিরতি ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, আমরা চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে তিন বছর মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি”
এবং “ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াফারি” কোর্স সম্পন্ন করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল চাঁদপুর -এ ইন্টার্ন নার্স হিসাবে কর্মরত আছি। কোর্স কারিকুলাম অনুযায়ী ৬ মাস মেয়াদি ইন্টার্নশীপ শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, শিক্ষা শাখার ০৭-০৮-২০২২ ইং তারিখে প্রকাশিত ১৮০ নং স্মারকে প্রশাসনিক অনুমতি পায়। সে প্রেক্ষিতে এ অধিদপ্তরের গত ২৯-০৯-২০২২ ইং তারিখে ৫২০ নং স্মারকে ইন্টার্ন স্যালারি মঞ্জুরির জন্য (ডিজিএনএম) থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়। পরবর্তিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ বাজেট অধিশাখার ১৩-১০-২০২২ তারিখে ৭৯৪ নং স্মারক পত্রে চাহিত তথ্যাদি অধিদপ্তরের ২৬-১০-২০২২ ইং তারিখের ৬০১ নং স্মারক পত্রে প্রেরণ করা হয় এবং ২৬-০৭-২০২৩ ইং তারিখে (ডিজিএনএম) থেকে ৩৬২ নং স্মারকে ইন্টার্ন স্যালারি বরাদ্দ ও মঞ্জুরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুনরায় অনুরোধ জানিয়ে পত্র প্রেরণ করা হলেও এখনো পর্যন্ত আমরা আমাদের ইন্টার্ন স্যালারির জন্য কোনো বরাদ্দ পাইনি।
তারা আরও জানান, আমাদের লগবুকের ১৪ নং পৃষ্ঠার Code of Conduct, Rules and Regulation এর ১নং পয়েন্টে ইন্টার্ন স্যালারির উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও আমরা কোনো ইন্টার্ন স্যালারি পাচ্ছি না। বর্তমানে আমাদের কোনো হোস্টেলের সুবিধাও নাই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজার, বাসা ভাড়া, থাকা- খাওয়া, যাতায়াত, হাত খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। পড়াশোনা শেষ করে ইন্টার্নশীপ করা অবস্থায় বাসা থেকে টাকা এনে ইন্টার্নশীপ করাটা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। খরচ চালাতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতালে ফুল টাইম ডিউটি করে বাহিরে কোথাও কাজ করার ও সুযোগ
থাকে না, যার কারণে আমরা কোথাও কাজও করতে পারছি না। এছাড়াও অনেক পরিবার মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত, যেথানে তাদের দিনাতিপাত করাই কষ্টসাধ্য হচ্ছে সেখানে সন্তানের ইন্টার্নশীপ চলাকালীন খরচ চালানোর জন্য মাসে ৮-১০ হাজার টাকার ভার বহন করাটা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। এ বস্থায় ইন্টার্ন স্যালারি বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সারা বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা ও সরকারি হাসপাতালে কর্মরত সকল ইন্টার্ন নার্স ও মিডওয়াইফদের পাশাপাশি “ইন্টার্ন নার্স ও মিডওয়াইফ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল,চাঁদপুর”ও অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইন্টার্ন নার্স আজহারুল ইসলাম, তারেক হাসান, মেহেদী হাসান, শাহিনুর আক্তার, লাভলী আক্তার, আবু বকর সিদ্দিক, সৌরভ মিয়া, ইন্টার্ন মিডওয়াইফ খাদিজা প্রমুখ।