চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন
অদ্য ০৮/১০/২০২৩ খ্রি. তারিখ রবিবার চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অত্র কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মাসুদুর রহমান এর সভাপতিত্বে অর্থনীতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক নুরুননাহার এর সঞ্চালনায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেছেন একাদশ শ্রেণির ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ এনামুল হক, ভূগোল ও আইসিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ মাসুদ হোসেন, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাহমিনা ফেরদৌস, ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ মোতাসিম বিল্লাহ, পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান জীবন কানাই সাহা, যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান মোঃ বুলবুল আলম, গণিত বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান আবুল কালাম মোঃ রিয়াজউদ্দিন, অর্থনীতি বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান মোঃ মহিউদ্দিন, সমাজকর্ম বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান, রসায়ন বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আফসার আলী শিকদার, হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়া এবং মোহাম্মদ ফিরোজ আলম চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান পেয়ার আহাম্মদ, জীববিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফয়েজ আহমেদ প্রধানীয়া এবং সঞ্জয় কুমার সাহা সহ সকল শিক্ষকবৃন্দ। নবীনদের মধ্য থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার, আল সাহারা সাহী, নিপা রায়, ইকরা আক্তার, ফাতেমা খান জিম। গান পরিবেশন করেন সানজিদা আলম সাঞ্জু। কবিতা আবৃত্তি করেন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাওদাতুল জান্নাত। ওরিয়েন্টেশনে শিক্ষার্থীদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং তাদেরকে ক্লাস রুটিন প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে কলেজের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট এবং রেড ক্রিসেন্ট এর সদস্যসহ সকল কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, “চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ অত্র অঞ্চলের নারী শিক্ষার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। এ কলেজ থেকে প্রতি বছর মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তোমরা সৌভাগ্যবান এমন একটি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছ। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অত্র জেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩১২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫.০০ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। আমি আশা রাখবো তোমরাও ভবিষ্যতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বিনির্মাণে তোমরাই হবে ভবিষ্যৎ কারিগর। তোমরা তোমাদের মেধা-মনন-সততা-নিষ্ঠা ও নেতৃত্ব দান করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে আরো বেশি উঁচু করবে। তোমরা কলেজের শৃঙ্খলা মেনে নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রম ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে। আশা করি তোমরা লেখাপড়া ও সহশিক্ষা কার্যক্রম দ্বারা কলেজকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে”।