হামলার প্রায় ২৫ দিন পর মোবারক হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এক বৃদ্ধকে হত্যার দায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার বিকালে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা (২৫), মিলন হোসেন (২৩), বিলকিস বেগম (৪০), বিলকিসের ছেলে রিপন হোসেন (২৪) ও সাদ্দাম হোসেন (২৭)।
এর মধ্যে মিলন ও রিপন পলাতক রয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিলকিস বেগমের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল। তাকে তা থেকে বিরত থাকার কথা বলতেন একই বাড়ির মোবারক হোসেন (৬০)। এতে বিলকিসের সঙ্গে মোবারকের বিরোধ তৈরি হয়।
এর জের ধরে ২০১৩ সালের ৮ মার্চ সন্ধ্যায় আসামিরা মোবারক হোসেন ও তার স্ত্রী নিলুফা বেগমকে বেধড়ক মারধর ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জখম করে। তাদেরকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মোবারক হোসেনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর সবশেষ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ এপ্রিল তিনি মারা যান।
পরদিন ৪ এপ্রিল মোবারক হোসেনের ছেলে মো. জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে পাঁচ আসামির নাম উল্লেখ করে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আখতার হোসেন ওই বছর ৩০ নভেম্বর আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আইনজীবী রনজিত রায় চৌধুরী বলেন, ১০ বছরের অধিক সময় পর মামলার রায়ে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সানাউল্লাহ।