গতকাল ১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালে চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের মিলনায়তনে এ মতবিনয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ এম এ ওয়াদুদ ( অব) এর সভাপতিত্বে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন,আমি যথা সময়ে আসতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করছি।
আপনারা বলেছেন ছোট অনুষ্ঠান, স্হানটি ছোট কিন্তু আপনাদের মন অনেক বড়। আপনারা যখন যুদ্ধে গিয়েছেন তখন আপনারা ছিলেন টগবগে যুবক। আপনারা সেই নেতার ডাকে সেদিন যুদ্ধে গিয়েছিলেন। আপনাদের ত্যাগের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীনতা আর্জন করেছে। যে নেতার ডাকে আপনারা যুদ্ধে গিয়েছিলেন সে নেতার নাম বিএনপি জামায়াত জোট শুনতে পারেনি। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ২১ বছর পর আমরা স্বাধীনতায় ফিরে এসেছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৫ বছরের দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। একসময় আমরা পরাধীন ছিলাম। যোদ্ধাপরাধীদের বিচার বিএনপি জোট সরকার করেনি। শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার শেষ করা হয়। দেশের মানুষ একসময় এসব বিচারের হাল ছেড়ে দিয়েছিল। শহীদের রক্তে রঞ্চিত জাতীয় পতাকা তাদের গাড়িতে বিএনপি দিয়েছিল।
আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতায় শেখ হাসিনার পনের বছরে দেশ পরিচালনা করছে। দেশ অনেক বদলে গেছে। এই কথা মানুষ ভাল ভাবে জানে। এখন আর এ দেশের মানুষকে না খেয়ে থাকতে হয় না। শেখ হাসিনা সবসময় চিন্তা করতে দেশের মানুষের পেটে ভাত ডাল জোটে কিনা। আগের সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেওয়া হতো না, মুক্তিযোদ্ধাদের এ ধরনের ভাতা ও ছিল না। শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমার পিতাকে তিনবার বঙ্গবন্ধু বলেছিল, আমার বাবার ত্যাগ স্বীকার করে অন্য কিছুই দিয়েছিলেন। নেত্রীকে তার পরিবার শিখিয়েছে ত্যাগ বড়, ভোগ বড় নয়, আমরা নেত্রীর নির্দেশই কাজ করে যাচ্ছি। আমার মাধ্যমে চাঁদপুরের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। আমি এত বছরও চাঁদপুরে দুপা ফেলার মত জায়গা কিনে নি। গ্রামে আমার বাপ দাদার পৈতৃক ভিটা রয়েছে সেখানে আমি থাকতে পারবো। জমি নিয়ে আমাকে জড়ানো হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে আমাকে জড়াতে পারেনি। আপনাদের কাছে আমার কথা হল আমাকে আপনারা দোয়া করবেন। আপনাদের দোয়া এবং শক্তি নিয়ে আমি আগামী দিন চলতে চাই। আপনাদের দেশে চাওয়া আমার কাছে চেয়েছেন আমি সেগুলো চেষ্টা করব পূরণ করার। আগামী পাঁচ বছরের প্রতিটা দিন আমি আপনাদের জন্য কাজ করবো।আপনার শুধু একটা দিন অর্থাৎ নির্বাচনের দিন ভোট দেওয়ার জন্য আপনার পরিবারের সকলকে নিয়ে ঘুরতে নিয়ে যাবেন। এই একটা দিনই আমি শুধু আপনাদের কাছে চেয়ে নিচ্ছি।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, হাইমচর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার হাফেজ আহমেদ, চাঁদপুর সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মান্নান মিজি ও ইসমাইল মিজি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, এডভোকেট মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক পিপি অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মৃনাল সাহা, মহসিন পাঠান,মুক্তিযুদ্ধা ইয়াকুব আলী মাস্টার, কেন্দ্রীয় যুব লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিল চাঁদপুর জেলা শাখার আহবায়ক জাফর ইকবাল মুন্না, জেলা যুব লীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুলসহ আরো অনেকে।
মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড কাউন্সিল চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক সুমন সরকার জয়।