রোববার দুই হাজার ৮৯১ মিটার উঁচু মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরি থেকে ছাইভস্ম আকাশের প্রায় তিন কিলোমিটার ওপর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এবং এসব ছাইভস্ম আশপাশের গ্রামগুলোতে পড়ে। আজ সোমবার উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হলেও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আপাতত এই উদ্যোগ বন্ধ আছে। উদ্ধারকর্মীদের মুখপাত্র জোদি হারিয়াওয়ান জানান, রোববার অগ্ন্যুৎপাতের সময় সেখানে ৭৫ জন পর্বতারোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১১ জনের মরদেহ আজ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দুই হাজার ৮৯১ মিটার উঁচু মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরি থেকে ছাইভস্ম আকাশের প্রায় তিন কিলোমিটার ওপর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এবং এসব ছাইভস্ম আশপাশের গ্রামগুলোতে পড়ে।
কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় মাত্রার সতর্কতা জারি করে এবং বাসিন্দাদের অগ্ন্যুৎপাতের কেন্দ্রের তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে না যাওয়ার নির্দেশনা দেয়।
ভিডিও ফুটেজে ছাইভস্মে নিমজ্জিত গাড়ি ও সড়ক দেখা গেছে। ছাইভস্ম খুব দ্রুত আকাশে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাওয়া এখন অত্যন্ত বিপদজনক।’
আজ দিনের শুরুতে ৪৯ পর্বতারোহীকে এই এলাকা থেকে বের করে আনা হয়।
জোদি জানান, অনেকের শরীর পুড়ে গেছে এবং তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সুমাত্রা দ্বীপের সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর অন্যতম মারাপি। ১৯৭৯ সালে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
এ বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসেও অগ্নুৎপাত হয়। সে সময় শীর্ষ থেকে এক কিলোমিটার ওপর পর্যন্ত ছাইভস্ম বের হয়ে আসে।
ইন্দোনেশিয়ায় মোট ১২৭টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।