এর আগে জামদানি, শীতল পাটি বয়ন শিল্প, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রা- ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পায়
বাংলাদেশের পঞ্চম “অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র। এর আগে জামদানি, শীতল পাটি বয়ন শিল্প, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রা- বৈশ্বিক এই সংস্থাটির স্বীকৃতি পায়।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আফ্রিকান দেশ বতসোয়ানার কাসানে ইউনোস্কোর এক কনভেনশনে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
আট দশক ধরে চলে আসা ঢাকাই এই ঐতিহ্যটির ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভে গত ছয় বছর ধরে চেষ্টা করে আসছিল সরকার। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় ২০২২ সালে এ সংক্রান্ত নথি আবারও প্রস্তুত করা হয়। অবশেষে তার ফল এলো।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সচিব খলিল আহমদ এ অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসেবে দেখছেন। নিবন্ধন ও স্বীকৃতি প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর ও প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এই দুই কর্ণধার।
রিকশাচিত্রকে ঐতিহ্য ঘোষণার বিষয়ে ইউনেস্কো বলেছে, রিকশা যেহেতু ধীরগতির বাহন, সেহেতু এর সাজসজ্জা আর অলঙ্করণ সহজেই চলতি পথের যাত্রীদের নজরে আসে। এইভাবে রিকশা পরিণত হয়েছে এক চলমান প্রদর্শনীতে। চিত্রিত এই রিকশা যেন ঢাকার নগর জীবনেরই প্রতীক। প্রদর্শনী, উৎসব, এমনকি চলচ্চিত্রেও স্থান করে নিয়েছে এই শিল্পধারা।