র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এছাড়াও সমাজকে মাদকমুক্ত করার জন্য র্যাব নিয়মিত মাকদবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নির্মূলে ও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুব সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে র্যাব-১১ বদ্ধপরিকর এবং এ লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে এবং বিভিন্ন সময়ে কুমিল্লা, চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ স্বরূপ র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ বিকালে নিজস্ব গোয়েন্দা কার্যক্রম ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোঃ রনি হোসেন (২২), পিতা-মুন্তাজ মিয়া, গ্রাম-এলাইচ বাজার, থানা-লাকসাম, জেলা-কুমিল্লা’কে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজী বাজার এলাকার ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং ৭৪০ বোতল ফেনসিডিল সহ একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোঃ রনি হোসেন জানায় যে, সে একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। এই চক্রের সকলেই বিভিন্ন সাধারণ পেশা তথা- গাড়ী চালক, হেলপার, মেকানিক, সিকিউরিটি গার্ড ইত্যাদি পেশার সাথে জড়িত এবং তারা সাধারণ পেশার আড়ালে এসকল মাদকদ্রব্যের পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত মোঃ রনি হোসেন একটি গ্যারেজের সিকিউরিটি গার্ড পেশার আড়ালে মাদকদ্রব্য সংরক্ষণ ও ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এই চক্রটি পারস্পারিক যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বড় আকারের চালান দীর্ঘদিন যাবৎ ট্রাক, পিকআপ, কার্ভাড ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের পণ্যদ্রব্য পরিবহনের আড়াঁলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কুমিল্লা ও ঢাকা সহ পাশর্^বর্তী জেলা সমূহে সরবারহ করে থাকে। গ্রেফতারকৃত মোঃ রনি হোসেন আরো জানায় এই বিপুল পরিমান ফেনসিডিল এর চালান ঢাকাসহ পাশর্^বর্তী বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর আভিযানিক দল মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ রনি হোসেনকে গ্রেফতার পূর্বক তার দেখানো মতে সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজী বাজার এলাকার ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক হতে গ্রেফতার করে ০৪ টি বস্তায় সর্বমোট ৭৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে যার আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা এবং মাদক পরিবহনে ০১ টি ব্যবহৃত মাইক্রোবাস আটক করে।
গ্রেফতারকৃত মোঃ রনি হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসংক্রান্তে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১১ এর গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।