ফরিদগঞ্জে বয়েছে নৌকার জোয়ার। পুনরায় নৌকা প্রতীক পেলে নৌকার প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমানকে অভ্যর্থনা জানায় অর্ধলক্ষাধীক জনতা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে আওয়ামীলীগের নৌকার মনোনিত প্রার্থী হয়েছেন চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনের বর্তমান এমপি প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান।২০১৮ সালে ফরিদগঞ্জ আসন থেকে নৌকা মার্কার নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ২০২৩ অব্দি সংসদ সদস্য
হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) চাঁদপুর জেলা ডিসি অফিস থেকে পুনরায় নৌকা প্রতীক নিয়ে মুহম্মদ শফিকুর রহমান তার নিজ সংসদীয় আসন ফরিদগঞ্জে আগমন করলে নৌকার সমর্থনে অর্ধলক্ষাধীক জনতা আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে বরণ করে নিয়েছে তাকে।
দলীয় বিভিন্ন শ্লোগানের মাধ্যমে এ আনন্দ শোভাযাত্রা চলে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে উপজেলা চত্ত্বর পর্যন্ত। এছাড়াও খণ্ডে খণ্ডে আনন্দ মিছিল চলে পুরো উপজেলা জুড়ে।
পরে উপস্থিত অর্ধলক্ষাধীক জনতার উদ্দেশ্যে মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি বলেন, আজকে আমি পূর্ববর্তী যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিজেকে উৎসর্গ করেছে তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আজকে অর্ধলক্ষাধীক জনতা আমাকে বরণ করেছেন। নৌকার পক্ষ্যে আমাকে বরণ করে নেওয়া মূলত নৌকাকে বরণ করে নেওয়া, ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। ফরিদগঞ্জবাসী যে নৌকা তথা আওয়ামিলীগকে শতভাগ ভালোবাসে আজকে আপনাদের এই উপস্থিতি-ই তার প্রমাণ বহন করে। আমি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে কাজ করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ্। মুহম্মদ শফিকুর রহমান আরও বলেন, আমার সংসদ সদস্য দায়িত্ব প্রাপ্তির পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ দিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলাটিকে পুরোবাংলাদেশের মধ্যে ১নাম্বার মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছি। কিন্তু সেই ইচ্ছে পূরণে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করেছে আল্লাহ্ প্রদত্ত গজব করনা মহামারী। তাই গত পাঁচ বছরের মধ্যে দুই বছর করনা থাকায় তা পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে অক্ষম হয়েছি আমরা। তারপরও মাত্র তিন বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুদানে ফরিদগঞ্জে যা উন্নয়ন হয়েছে তা গত ৫০ বছরের ইতিহাসে নজীর স্থাপন করেছে। আমরা মাত্র ৩ বছরে ফরিদগঞ্জের উন্নয়ন কাজ ৭০ শতাংশ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। ৭ জানুয়ারী ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি নির্বাচিত হলে অবশিষ্ট ৩০ শতাংশ কাজ পূর্ণ করে পুরো বাংলাদেশের মধ্যে ফরিদগঞ্জকে ১নং মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।