“শেখ হাসিনার নেতৃৃৃত্বেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব”
……মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, নৌকায় ভোট দিলে দেশে বড় বড় উন্নয়ন হয়, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলেই বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আর এটি একমাত্র শেখ হাসিনা সরকার আছে বলেই সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে এখনো লেগে আছে। দেশের মানুষ আগুন সন্ত্রাসকে আর চায় না। আপনারা সতর্ক থাকবেন। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার নিজ বাড়ী মোহনপুরের আলী ভিলায় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে হবে। তিনি বলেন, ‘ভোটারের বাড়িতে বাড়িতে যেতে হবে। ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। ভোটার উপস্থিতি দিয়ে মোড়লদের দেখিয়ে দিতে হবে, শেখ হাসিনার নেতৃৃত্বেই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব। তাঁর নেতৃত্বে দেশে একটি সুন্দর-সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়।’
তিনি বিএনপি-জামায়াতের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে মায়া বলেন, ‘আমরা দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনকে বানচাল করতে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করেছিল। তারা অপশক্তি। কিন্তু আমরা সবকিছু মোকাবিলা করে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি। তারা বিশ্ব মোড়লদের আমাদের বিরুদ্ধে পক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। তারা আমাদের দিকনির্দেশনা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আমাদের নির্ভীক সাহসী সেনাপতি শেখ হাসিনা কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পান না।’
এসময় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইযুব আলী গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, শাহজাহান প্রধান, আ’লীগ নেতা আলহাজ¦ গাজী মুক্তার হোসেন, সাবেক চেয়রাম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ, আ’লীগ নেতা মানিক দর্জি, ইসলামাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন মুকুল’সহ আরো অনেকে।