শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে আমি যখন এই এলাকায় এসেছি, তখন কোন দালান চোখে পড়ে নাই। শুধুমাত্র টিন দিয়ে তৈরি হতো ঘরবাড়ি। হাইমচরের মানুষ নদী ভাঙার আতঙ্কে অর্থবিত্ত থাকার পরও পাকা দালান করতো না। আপনাদের ৩টি দাবি ছিলো নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, হাইমচর চাঁদপুর সড়ক সংস্কার, হাইমচর কলেজকে ডিগ্রি কলেজে রুপান্তর। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় আপনাদের ৩টি দাবি পূরন করতে পেরেছি এবং আপনাদের দাবির চেয়েও অনেক বেশি কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাই এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে নদীর পাড় দিয়ে রিভার ড্রাইভ হবে। পর্যটন নির্ভর নান্দনিক হাইমচর গড়ে উঠবে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ হাইমচরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসবে। এছাড়া মেঘনার চরে শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে । এতে হাইমচরের মানুষের জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। কেউ আর বিদেশ যাবেনা। নিজের এলাকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে মানবিক, সৃজনশীল এবং বৈজ্ঞানিক স্বাক্ষরতাসম্পন্ন জাতি গঠনে নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়েছে। কিন্তু কোচিং ব্যবসায়ী, গাইড ব্যবসায়ী এবং কিছু কুচক্রীমহল নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নতুন কারিকুলামের ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এসময় তিনি উপস্থিত সকলকে নতুন কারিকুলাম নিয়ে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেন। ২৫ ডিসেম্বর (সোমবার) হাইমচর উপজেলার বাজাপ্তী রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় এবং কেভিএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৃথক পৃথক মহিলা সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, হাইমচরের উন্নয়নের রুপকার ডাঃ দীপু মনির উন্নয়নের কথা বলে শেষ করা যাবেনা।
যখন হাইমচরের চরম দুঃসময় ঠিক তখনই মহান আল্লাহ আমাদের কাছে ডা. দীপু মনি কে সুখের প্রদীপ জ্বালানোর জন্য পাঠিয়েছেন। তিনি হাইমচরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন, যেমন নদীতে স্থায়ীবাঁধ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মান, স্কুল ভবন ননির্মান, শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল, পর্যটন কেন্দ্র নির্মান কাজ কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে।
এসময় তিনি পুনরায় ডা দীপু মনিকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে সকলকে অনুরোধ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রধানীয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জাফর ইকবাল মুন্না, জেলা যুবলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, চাঁদপুর জেলা পরিষদ সদস্য জনাব মো:খুরশিদ আলম শিকদার, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদ আলম খান, আতিক পাটওয়ারী, যুবলীগ আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী, হাইমচর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক জহিরুল ইসলাম সোহেল পাটওয়ারী, ছাত্র লীগের আহবায়ক রবিউল হাসান রাজু পাটওয়ারী সহ নেতৃবৃন্দ।