চাঁদপুরে আইনী লড়াই শেষে শহরের খ্রিস্টান পাড়ায় নিজের সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দাতাথেকে পাওয়া হুইলকৃত জমি বুজে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন ভুক্তভোগী শ্যামল চন্দ্র দাস ও তার পরিবারবর্গ। আদালত থেকে স্বীকৃতি পাওয়া ওই জমির পরিমাণ প্রায় ২.৫০ শতাংশ। যদিও বিষয়টি আদালত কর্তৃক স্বীকৃত নয় বলে দাবী করছেন শলোমন মন্ডল।
৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে জমি বুজে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগী শ্যামল চন্দ্র দাস।
তিনি আদালতের রায়ের কয়েকটি কাগজ দেখিয়ে বলেন, ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালের যুগ্ম জেলা জজ পারভেজ আহমেদ এ জায়গার স্বীকৃতিসরূপ আমার পক্ষে রায় দেন। এর আগে ২০১৯ সাল হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৪০২/২০১৯ মামলাটি আদালতে চলমান অবস্থায় উভয় পক্ষের মনোনীত কৌশলী এবং বাদী ও বিবাদী পক্ষের শুনানীতে দুই তরফা সূত্রে ভুক্তভোগীর ডিক্রি ও রায় প্রদান করেন। যে মামলাটির বাদী ছিলেন মৃত অমূল্য মন্ডলের ছেলে শলোমন মন্ডল এবং ১৪নং বিবাদী ছিলেন বর্তমান ভুক্তভোগী আমি অর্থাৎ গৌরী শঙ্কর দাসের ছেলে শ্যামল চন্দ্র দাস।
তথ্য উপাত্ত দেখিয়ে শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, জমিদাতা সচিন্দ্র চন্দ্র দাস ও তার পরিবারেরসহিত প্রায় ৩৫ বছর পূর্ব হতেই আমার পিতামাতারসহিত পরিচিত ছিলাম। সেই হিসেবে নিঃসন্তান সচিন্দ্র চন্দ্র দাস ও তার স্ত্রী সুষমা রানী দাস অসহায় বার্ধক্যজনিত অসুস্থ হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ নিরলসভাবে আমি ও আমার পরিবারবর্গ সেবা করে গেছি। সেই হিসেবে সচিন্দ্র চন্দ্র দাস খুশি হয়ে গত ২০১২ সালের ১৫ই জুলাই চাঁদপুর সদর সাবরেজিস্টার কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হন। এরপর রেজিস্ট্রারের সম্মুখে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে হুইলকৃত দলিলে স্বাক্ষর করে দান করে দেন। যা হুইল নং ১১১৫০ তে রেজিস্ট্রিকৃত এবং এটি বলিয়মে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে সচিন্দ্র দাসের মৃত্যুর পর একের পর এক হত্যা মামলাসহ দুই হালি মামলা দিয়েছেন যা আদালত কর্তৃক ১০৭ ধারায় মিথ্যা ও হয়রানি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এতো কিছুর পরেও যখন আমি কাঙ্খিত এবং ন্যায়ের ওপর আস্থা রাখা রায়টি আদালত কর্তৃক পেলাম। তখন আমার জায়গাটুকু দখলে দিতে কালবিলম্ব করছেন ওই শলোমন মন্ডল। তাই আমি আদালতে রায় পাওয়া ওই ভিটিবাড়িটি বুজে পেতে প্রশাসন ও সুধীসমাজের সর্বোচ্চ সহায়তাটুকুর অনুরোধ করছি।
এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে শলোমন মন্ডল বলেন, এই সমস্ত রায়ের বিষয় সম্পূর্ণ ভূয়া। উল্টো শ্যামল চন্দ্র দাস কিভাবে এই রায় পেলো এবং কোথায় পেলো এই জায়গা তা জানতে আমি আদালতের মাধ্যমে তাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। তাছাড়া খ্রিস্টান ধর্মীয় আইনানুযায়ীও তিনি ওই সম্পত্তি দাবী করার সুযোগ নেই। বিষয়টির আইনী লড়াই এখনো শেষ হয়নি।