দুপুর ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখতে পেয়েছি প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই নাই। তবে ভোটকক্ষের ভেতরে গিয়ে দেখলাম ব্যালট বাক্স ভর্তি। ফরিদগঞ্জ এ আর পাইল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পর্যবেক্ষণের সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন আমার গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল বোমা নিক্ষেপ এবং হামলা করেছে।’
তিনি জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করছে। যা আমরা পর্যবেক্ষণ করে সচক্ষে প্রমাণ পেয়েছি। আমার এজেন্টদেরকে জোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারা প্রকাশ্যে প্রিজাইডিং অফিসারের সামনে ভোট কারচুপিসহ নানারকম অনিয়ম করে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে বার বার অবগত করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী এমন নীরব আচরণে জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিগত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় সংসদে বিরোধী দল ছিলাম। ২০২৪ সালের নির্বাচন করার পর কোন বিরোধী দল রইলো না। এখন মাঠে রইলো আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের নামধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই নাটকীয় নির্বাচন জাতি কখনো মেনে নিবে না। চাঁদপুর-৪ আসনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কোন পরিবেশ না থাকায় ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির এই নির্বাচন বর্জন করলাম। দেশ এবং বিদেশে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।’
উল্লেখ্য, চাঁদপুর-৪ আসনে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. শামছুল হক ভুঁইয়াসহ সাত প্রার্থী।