ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন রেজিষ্ট্রার
অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হকের ইন্তেকাল
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন রেজিস্ট্রাার ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ইলেট্রনিক্স সোসাইটির কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এ.কে.এম. ফজলুল হক আজ ২১ জানুয়ারি (রবিবার)সকাল ১০ টায় ঢাকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কার্ডিও ভাস্কুলার ডিজিস ইন্সটিটিউটে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহে —————–রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, নাতী-নাতনী, অসংখ্য গুনগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান, উপ- উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব উল হক মজুমদার, শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক নভেম্বর ০১, ২০১৩ তারিখ থেকে অক্টোবর ১৮, ২০২২ পর্যন্ত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিষ্ট্রারের দায়িত্ব পালন করছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
কর্মজীবনে তিনি পরমানু শক্তি কমিশনের ঢাকা কেন্দ্রের পরিচালক ও এক্সিলারেটর ফেসিলিটিজ বিভাগের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পরমানু শক্তি কমিশনে তেত্রিশ বছরের গবেষণার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ ও ইলেক্ট্রনিকস্ বিভাগের ফিলিপস রিসার্চ ফেলো এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পিএইচ ডি, এম ফিল ও মাস্টার্স এর থিসিস নিয়মিত তত্ত্বাবধান করে আসছেন।
তিনি প্রকৌশলীদের পেশাজীবি সংগঠন ‘ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারস্ অব বাংলাদেশ’এর ২০১১-২০১২ এবং ২০১৩-২০১৪ এর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক্স্ সোসাইটির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১০ এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির সহ-সভপাতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে ‘এশিয়ান কমিটি ফর ফিউচার এক্সিলারেটর’ এর সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি ১৯৫৩ সালে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার পাটিরা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।