মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের খানসামায় বেগুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা। আর পাইকারী বাজারে আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। এক সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা ঢেপা বেগুন এখন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। বিক্রেতা বলছেন, ঘণ কুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে কৃষকেরা ক্ষেত থেকে বেগুন তুলতে পারছেনা। তাই মোকামে বেগুন পাওয়াই যাচ্ছে না। মোকামে বেগুনের সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়েছে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পাকেরহাটে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে আগে বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ সেই বেগুন ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ফুলকপি ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে , কাঁচা মরিচ ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা আজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এ ছাড়াও সবধরণের সবজির দামও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।
পাকেরহাট বাজারে বেগুন কিনতে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি বেগুন কিনেছি ৪০ টাকা কেজি দরে। আর আজ প্রতিকেজি বেগুন কিনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধান বেগুনের দাম কেজি বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। আরেক ক্রেতা আব্দুল মতিন বলেন, এখন তো বেগুনের ভরা মৌসুম তার পরেও বেগুনের দাম বাড়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। এক কেজি বেগুন কিনলাম ৬০ টাকায়।
পাকেরহাট বাজারের সবজি বিক্রেতা আসাদুর বলেন ঘণ কুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে কৃষকেরা ক্ষেত থেকে বেগুন তুলতে পারছেনা তাই মোকামে বেগুন পাওয়া যাচ্ছে না। মোকামে বেগুনের সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়েছে।মোকামে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম হয়তো কমে আসবে। তখন স্থানীয় বাজারেও দাম আগের মতোই কমে আসবে।