ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়ে অন্যদিকে সরকারের প্রয়োজন মেটাতে টাকা ছাপাচ্ছে। তাঁরা একে বর্ণনা করেছেন ‘বিপরীতমুখী’ পদক্ষেপ হিসেবে। তবে তাঁদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মো. হাবিবুর রহমান বলেছেন, টাকা ছাপানোর যে কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।
আজ রোববার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে পরস্পরবিরোধী এই বক্তব্য উঠে আসে। ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে ছয় মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক পর্যালোচনা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান।
সেমিনারে ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা বর্তমানে ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় টাকার সংস্থান করতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক একদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়েছে। অন্যদিকে সরকারের প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপাচ্ছে, যেটা বিপরীতমুখী।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান বলেন, খেলাপি ঋণের কারণে দেশের বেসরকারি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। দেশের ২২ শতাংশের বেশি ঋণ সমস্যাযুক্ত। গত ১৫ বছরে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি করা যায়নি। এতে রাষ্ট্রের কোষাগারের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। এসব কারণে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে দিতে হয়েছে।
তবে এ ধরনের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, অনেকে একটা কথা বলেন যে টাকা ছাপানো হয়। কিন্তু না জেনে তাঁরা সম্পূর্ণ ভুল বক্তব্য দেন। টাকা ছাপানোর বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যালেন্স শিটের মাধ্যমে বোঝা যায়।
হাবিবুর রহমান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যালেন্স শিটের আকার গত ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে) হয়েছে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা, যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ কম। অর্থাৎ যত টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে প্রবেশ করেছে, তার চেয়ে কম টাকা বাজারে ছাড়া হয়েছে। কাজটি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়েছে। ফলে টাকা ছাপিয়ে বাজারে দেওয়া হচ্ছে, এ কথা সঠিক নয়।
মূল প্রবন্ধে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, জিডিপিতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের অবদান কমে যাওয়া উদ্বেগের বিষয়। পাশাপাশি স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস, সহনীয় মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি প্রাপ্তি ও সরবরাহ খাতের উন্নয়ন জরুরি। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিষয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস।
ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়ে অন্যদিকে সরকারের প্রয়োজন মেটাতে টাকা ছাপাচ্ছে। তাঁরা একে বর্ণনা করেছেন ‘বিপরীতমুখী’ পদক্ষেপ হিসেবে। তবে তাঁদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মো. হাবিবুর রহমান বলেছেন, টাকা ছাপানোর যে কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।
আজ রোববার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে পরস্পরবিরোধী এই বক্তব্য উঠে আসে। ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে ছয় মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক পর্যালোচনা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান।
সেমিনারে ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা বর্তমানে ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় টাকার সংস্থান করতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক একদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়েছে। অন্যদিকে সরকারের প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপাচ্ছে, যেটা বিপরীতমুখী।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান বলেন, খেলাপি ঋণের কারণে দেশের বেসরকারি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। দেশের ২২ শতাংশের বেশি ঋণ সমস্যাযুক্ত। গত ১৫ বছরে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি করা যায়নি। এতে রাষ্ট্রের কোষাগারের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। এসব কারণে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে দিতে হয়েছে।
তবে এ ধরনের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, অনেকে একটা কথা বলেন যে টাকা ছাপানো হয়। কিন্তু না জেনে তাঁরা সম্পূর্ণ ভুল বক্তব্য দেন। টাকা ছাপানোর বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যালেন্স শিটের মাধ্যমে বোঝা যায়।
হাবিবুর রহমান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যালেন্স শিটের আকার গত ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে) হয়েছে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা, যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ কম। অর্থাৎ যত টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে প্রবেশ করেছে, তার চেয়ে কম টাকা বাজারে ছাড়া হয়েছে। কাজটি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়েছে। ফলে টাকা ছাপিয়ে বাজারে দেওয়া হচ্ছে, এ কথা সঠিক নয়।
মূল প্রবন্ধে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, জিডিপিতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের অবদান কমে যাওয়া উদ্বেগের বিষয়। পাশাপাশি স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস, সহনীয় মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি প্রাপ্তি ও সরবরাহ খাতের উন্নয়ন জরুরি। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিষয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস।