কচুয়া উপজেলার দোঘর ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোন প্রকার নিয়ম না মেনেই নাম মাত্র আয়োজন করে ওই মাদ্রাসার সভাপতি পদের যাবতীয় কার্যক্রম তরিগরি শেষ করে ২৪ ফেব্রুয়ারী সভাপতি হিসেবে মোহাম্মদ জায়েদ হোসেন নয়ন এর নাম প্রস্তাব করে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে প্রেরন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারনের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন সঠিক নিয়মে ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারের ভিত্তিতে সভাপতি পদসহ কমিটি গঠনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষনা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এর ডিও লেটারকে উপক্ষো করে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবু নোমান একজন অভিভাবক সদস্যকে ম্যানেজ করে কাউকে না জানিয়ে এবং পূর্বের অভিভাবক সদস্যদের বাদ দিয়ে মনগড়া ভাবে এ কমিটি গঠন করে।
ওই মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউসুফ আলী তালুকদার জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মাননীয় সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ মহোদয় আমাকে দোঘর ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সভাপতির নাম প্রস্তাব করে ডিও লেটার দেন। যা ওইদিন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে জমা দেয়া হয়। পাশাপাশি অনুলিপি মাদ্রাসায় ও কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা প্রদান করি। কিন্তু মাদ্রাসার সুপারকে এমপির ডিও লেটার মোতাবেক মাদ্রাসার প্রেডে নাম প্রস্তাব করে বোর্ডে প্রেরনের কথা বললে তিনি উল্টো তা না করে গরিমসি করেন।
মাদ্রাসার সুপার মাও. মো. আবু নোমান জানান, সভাপতি নির্ধারনে সকল নিয়মনীতি মেনেই অভিভাবক সদস্য গঠন প্রক্রিয়া শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে সভাপতি প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। মো. ইউসুফ আলী তালুকদারের সভাপতি পদে এমপি মহোদয়ের ডিও লেটার দেয়া প্রসঙ্গে সুপার বলেন, এটা আমি ২৭ ফেব্রুয়ারি পেয়েছি। এর আগেই আমরা বোর্ডে কমিটি প্রেরন করেছি। তবে গতকাল রবিবার দুপুরে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলী আশ্রাফ খান সভাপতি পদে নতুন করে মো. ইউসুফ আলী তালুকদার এর নাম প্রস্তাবনা দিয়ে মাদ্রাসা বোর্ডে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ জায়েদ হোসেন নয়ন বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া ও নিয়ম মেনেই কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আমার কমিটি ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক স্বাক্ষরিত হয়ে অনুমোদিত হয়েছে। তবে শুনেছি, এমপি মহোদয় একজনকে ডিও লেটার দিয়েছেন। আমি যেহেতু আওয়ামী পরিবারের লোক, এমপি মহোদয়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। প্রয়োজনে আমি এ বিষয়ে এমপি মহোদয়ের সাথে দেখা করে তিনি যা সিদ্ধান্ত দেন আমি তা মেনে নিবো।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. আলী আশ্রাফ খান বলেন, বিগত ২১ জানুয়ারি ওই মাদ্রাসার তফসীল ঘোষনা করা হয়। এবং সকল প্রক্রিয়া শেষে ১৮ শেষে অভিভাবক সদস্য গঠন করা হয় এবং ২৪ ফেব্রুয়ারী সদস্যদের উপস্থিতিতে ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি নির্ধারন করা হয়। পরবর্তীতে মাননীয় সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ এর ডিও লেটার থাকায় পুনরায় ওই মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে মো. ইউসুফ আলীর নাম প্রস্তাব করে বোর্ডে প্রেরনের জন্য ওই মাদ্রাসার সুপারকে নির্দেশনা দিয়েছি।