গাজায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১০৬ ফিলিস্তিনি। গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। খবর আল জাজিরার।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ২২৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৪ হাজার ৫১৮ জন।
এদিকে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। গাজা সিটির দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকরা ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ঠিক সে সময়ই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এর মিডিয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদাররা গণহত্যা চালিয়েছে। আল কুয়েত গোলচত্ত্বরে ত্রাণ সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক। সে সময় তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়। এতে ১৯ জন নিহত এবং আরও ২৩ জন আহত হয়।
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা ক্ষুধার্ত লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছিল। এসব লোকজন ব্যাগ হাতে খাবার এবং ত্রাণ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। তারা ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য বিপজ্জনক কেউ ছিল না।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়েছে। হামলায় আহতদের নিকটবর্তী আহলি আরব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কোনো হাসপাতালেই লোকজনকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেক মানুষকেই খোলা আকাশের নিচেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মাহমুদ বাসাল বলেন, হামলায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এখানকার বাস্তবতা দুঃখজনক, কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং।
আলা আল খুদারি নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন মারা গেছে এবং অনেকেই আহত হয়েছে। সেখানে লোকজন তাদের সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য ত্রাণের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।