গতকাল সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানির শেয়ারের দাম ২১ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে অভিষেকের পর কোম্পানিটির শেয়ারের দাম যতটা বেড়েছিল, এখন তা কমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে কোম্পানিটির পক্ষে আর্থিক দায় মেটানো কঠিন হবে।
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানি ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ (টিএমটিজি) ক্ষতির মুখে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে তারা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে তাদের ক্ষতি হয়েছে ৫৮ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বেশি। এ খবর জানাজানির পর এক দিনেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২১ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এবারও ট্রাম্প অনেকটা এগিয়ে। গত ২৬ মার্চ ট্রাম্পের এই কোম্পানির শেয়ারবাজারে অভিষেক হয়। সমর্থকদের আগ্রহের কল্যাণে প্রথম দিনেই শেয়ারের দাম ৫৮ ডলারে উঠে যায়। কিন্তু গতকাল ট্রাম্পের কোম্পানি তাদের আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করলে শেয়ারের দাম ২১ শতাংশ বা ১৩ দশমিক ৩০ ডলার কমে ৪৮ দশমিক ৬৬ ডলারে নেমে আসে।
শেয়ারবাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা ইনসাইডার ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষক রস বেনেস রয়টার্সকে বলেন, ট্রুথ সোশ্যালের শেয়ার অতিমূল্যায়িত, এমন কথা প্রকাশিত হওয়ার পর কোম্পানিটির উজ্জ্বল অভিষেক আর টেকসই হচ্ছে না। কোম্পানিটি এখনো মুনাফা অর্জন করতে পারেনি, তাদের রাজস্ব আয়ও কম।
এই কোম্পানিতে ট্রাম্পের শেয়ার প্রায় ৫৯ শতাংশ, সংখ্যাগত দিক থেকে তা ৭ কোটি ৮৭ লাখ। গত সপ্তাহে যখন এই শেয়ারের দাম তুঙ্গে, তখন ট্রাম্পের শেয়ারের বাজারমূল্য ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়, যদিও এখন তা কমে গেছে। তবে ট্রাম্প আগামী ছয় মাস নিজের শেয়ার বিক্রি বা তার বিপরীতে ঋণ করতে পারবেন না। তিনি এই বন্দোবস্ত লঙ্ঘনের চেষ্টা করলে শেয়ারের দাম আরও কমে যেতে পারে।
স্টকের দাম কমে যাওয়ার পরও এই কোম্পানির বাজার মূলধন এখনো ৬০০ কোটি ডলারের বেশি, যেখানে আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটের বাজার মূলধন ৮০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি।
আরেক বাজার বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান রানিং পয়েন্ট ক্যাপিটালের মাইকেল অ্যাশলে স্কুলম্যান বলেছেন, হাইপ ও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহের ওপর ভর করে টিএমটিজির অভিষেক দারুণ হয়েছে; কিন্তু অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা থেকে তা এখনো অনেক দূরে।
গত বছর ট্রুথ সোশ্যালের রাজস্ব আয় হয়েছে ৪১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, ২০২২ সালে যা ছিল ১৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। অথচ ২০২৩ সালে রেডিটের রাজস্ব আয় হয়েছে ৮০ কোটি ডলার।
এদিকে যে শর্ট সেলাররা ট্রাম্পের কোম্পানিকে লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন, তারা প্রথম দিকে তাত্ত্বিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়লেও গতকাল দরপতনের জেরে ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে উঠেছেন। আর্থিক প্রযুক্তি ও বিশ্লেষণকারী সংস্থা এস৩ পার্টনার্স জানিয়েছে, গতকাল শেয়ারের মূল্যহ্রাসের কারণে শর্ট সেলাররা সাড়ে ছয় কোটি ডলার বাগিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষতি কমে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬০ লাখ ডলারে। তবে এসব হিসাব তাত্ত্বিক।
২০২১ সালে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড অ্যাকুইজিশন ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হওয়ার লক্ষ্যে চুক্তি করার পর দেশটির সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। তারা কোম্পানির প্রধান নির্বাহীকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়। এ ছাড়া ভুল তথ্য প্রকাশের দায়ে এসইসি তাদের ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার জরিমানাও করে। অবশেষে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই একীভবনের অনুমোদন দেয়।
গতকাল সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানির শেয়ারের দাম ২১ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে অভিষেকের পর কোম্পানিটির শেয়ারের দাম যতটা বেড়েছিল, এখন তা কমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে কোম্পানিটির পক্ষে আর্থিক দায় মেটানো কঠিন হবে।
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানি ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ (টিএমটিজি) ক্ষতির মুখে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে তারা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে তাদের ক্ষতি হয়েছে ৫৮ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বেশি। এ খবর জানাজানির পর এক দিনেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২১ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এবারও ট্রাম্প অনেকটা এগিয়ে। গত ২৬ মার্চ ট্রাম্পের এই কোম্পানির শেয়ারবাজারে অভিষেক হয়। সমর্থকদের আগ্রহের কল্যাণে প্রথম দিনেই শেয়ারের দাম ৫৮ ডলারে উঠে যায়। কিন্তু গতকাল ট্রাম্পের কোম্পানি তাদের আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করলে শেয়ারের দাম ২১ শতাংশ বা ১৩ দশমিক ৩০ ডলার কমে ৪৮ দশমিক ৬৬ ডলারে নেমে আসে।
শেয়ারবাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা ইনসাইডার ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষক রস বেনেস রয়টার্সকে বলেন, ট্রুথ সোশ্যালের শেয়ার অতিমূল্যায়িত, এমন কথা প্রকাশিত হওয়ার পর কোম্পানিটির উজ্জ্বল অভিষেক আর টেকসই হচ্ছে না। কোম্পানিটি এখনো মুনাফা অর্জন করতে পারেনি, তাদের রাজস্ব আয়ও কম।
এই কোম্পানিতে ট্রাম্পের শেয়ার প্রায় ৫৯ শতাংশ, সংখ্যাগত দিক থেকে তা ৭ কোটি ৮৭ লাখ। গত সপ্তাহে যখন এই শেয়ারের দাম তুঙ্গে, তখন ট্রাম্পের শেয়ারের বাজারমূল্য ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়, যদিও এখন তা কমে গেছে। তবে ট্রাম্প আগামী ছয় মাস নিজের শেয়ার বিক্রি বা তার বিপরীতে ঋণ করতে পারবেন না। তিনি এই বন্দোবস্ত লঙ্ঘনের চেষ্টা করলে শেয়ারের দাম আরও কমে যেতে পারে।
স্টকের দাম কমে যাওয়ার পরও এই কোম্পানির বাজার মূলধন এখনো ৬০০ কোটি ডলারের বেশি, যেখানে আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটের বাজার মূলধন ৮০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি।
আরেক বাজার বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান রানিং পয়েন্ট ক্যাপিটালের মাইকেল অ্যাশলে স্কুলম্যান বলেছেন, হাইপ ও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহের ওপর ভর করে টিএমটিজির অভিষেক দারুণ হয়েছে; কিন্তু অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা থেকে তা এখনো অনেক দূরে।
গত বছর ট্রুথ সোশ্যালের রাজস্ব আয় হয়েছে ৪১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, ২০২২ সালে যা ছিল ১৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। অথচ ২০২৩ সালে রেডিটের রাজস্ব আয় হয়েছে ৮০ কোটি ডলার।
এদিকে যে শর্ট সেলাররা ট্রাম্পের কোম্পানিকে লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন, তারা প্রথম দিকে তাত্ত্বিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়লেও গতকাল দরপতনের জেরে ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে উঠেছেন। আর্থিক প্রযুক্তি ও বিশ্লেষণকারী সংস্থা এস৩ পার্টনার্স জানিয়েছে, গতকাল শেয়ারের মূল্যহ্রাসের কারণে শর্ট সেলাররা সাড়ে ছয় কোটি ডলার বাগিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষতি কমে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬০ লাখ ডলারে। তবে এসব হিসাব তাত্ত্বিক।
২০২১ সালে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড অ্যাকুইজিশন ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হওয়ার লক্ষ্যে চুক্তি করার পর দেশটির সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। তারা কোম্পানির প্রধান নির্বাহীকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়। এ ছাড়া ভুল তথ্য প্রকাশের দায়ে এসইসি তাদের ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার জরিমানাও করে। অবশেষে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই একীভবনের অনুমোদন দেয়।