মনোরম পরিবেশের চাঁদপুরে এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব বৈশাখী মেলা ১৪৩১। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে ও চাঁদপুর পৌরসভার পৃষ্ঠপোষকতায় মাসব্যাপী বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব বৈশাখী মেলা আগামী ১২ এপ্রিল চারটায় নয় সন্ধ্যা ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন চাঁদপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে ঈদের দিন থেকেই মেলার কার্যক্রম শুরু হবে। ইতোমধ্যে মেলার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের পেছনে ডাকাতিয়া নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে খোলা আকাশের নিচে মাসব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন মেলায় রয়েছে সাহিত্য আড্ডা, নাটক, বাউল সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চাঁদপুরের অর্ধ শতাধিক সংগঠন তাদের পরিবেশনায় করার জন্য ইতোমধ্যে নিজ নিজ সংগঠন সময়সূচী নিয়েছে। প্রস্তুতিও চলছে তাদের। তবে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ থাকছে জেলা প্রশাসনের দিনব্যাপী কার্যক্রম। এছাড়াও ঈদের দিন থাকছে ঈদ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান এবং উদ্বোধনীর দিন জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২০ এপ্রিল থাকছে জেলা পরিষদের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ঢাকার বরেণ্য শিল্পীরা অংশ নিবে। এটি বাঙালিদের একটি প্রাণের উৎসব।
উদ্বোধনী দিন আরো উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম (বার), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওসমান পাটওয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ (অব:) এম এ ওয়াদুদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত। মেলা সুন্দর ও সফলভাবে শেষ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব বৈশাখী মেলায় আরো রয়েছে শিশুদের বিনোদনের সুব্যবস্থা যেমন- নাগরদোলা, ট্রেন, ড্রাগন, পুতুল নাচ, ভূতের বাড়ি, স্লিপার ঘোড়া, ইত্যাদি। মেলায় পাচ্ছেন – সংসারে বিভিন্ন আসবাবপত্র, কাপড়, থ্রি পিস, বাচ্চাদের হরেক রকম পোশাক,খেলনা সামগ্রী, চুরি, মালা, কানের দুল, চুলের কাটা, হাতের তৈরী জিনিস, বৈশাখের রকমারী জিনিসসহ রকমারী খাবার। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এর আগমন বাঙালির সাথে বৈশাখের সম্পর্ক সুদীর্ঘ কালের। বাঙালীর সংস্কৃতি আর বৈশাখ অবিচ্ছেদ্য বিষয়। বৈশাখ মানিই বাঙালির প্রাণের উৎসব। বৈশাখের আবহনে বাঙালি আন্দোলিত হয় ভিন্ন রুপে। বৈশাখের সাথে বাঙালির একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। কেননা, বৈশাখ তথা নববর্ষ নতুন এক আশার বানী বহন করে নিয়ে আসে।