চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার বিভিন্ন দোকানে শিশু খাদ্যপণ্যে ক্ষতিকর রং, কৃত্রিম ফ্লেভার, নিষিদ্ধ কেমিক্যাল, হাইড্রোজ, মোম ও স্যাকারিনের দ্রবণ মিশিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের জুস এবং জেলিসহ ভেজাল খাদ্যপণ্য বিক্রয়ের সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক পৌরসভা এলাকার ঠাকুরবাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ২০ এপ্রিল শনিবার উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন বাজারে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় জানা যায়
নিম্নমানের এসকল মুখরোচক ভেজাল শিশু খাবার খেয়ে শিশুরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। তাদের শরীরে এসব উপাদান স্লো পয়জনিংয়ের মতো কাজ করছে। এসব শিশুর পেটে গেলে কিডনি ও লিভার ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
সাম্প্রতিককালে উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রচুর পেটের পীড়ার শিশু রোগী পাওয়া যায় যারা সরাসরি ভেজাল খাদ্যের জন্য আক্রান্ত হয়। খাবারে ক্ষতিকারক রঙের ব্যবহার, কীটনাশক ইত্যাদির কারণে শিশুর কিডনি ও লিভারসহ যেসব জায়গায় বেশি রক্ত চলাচল করে সেসব অঙ্গ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সারের আশঙ্কা থাকে। এর বাইরে পেটের পীড়া, পেটে ঘা, আলসার, চর্মরোগসহ নানা রোগের প্রভাব দেখা দিচ্ছে।
বিএসটিআই এর অনুমোদনহীন, উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখবিহীন, ইঁদুরে খাওয়ার দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত ভেজাল বিপুল পরিমাণ শিশু খাদ্য পাওয়া যায় ঠাকুর বাজারের মুক্তা স্টোর ও রোহা স্টোর নামক দুটি দোকানে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫২ ধারা মোতাবেক দোকান দুটির মালিককে ৩০,০০০/- (ত্রিশ) হাজার টাকা করে মোট ৬০,০০০/- (ষাট) হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। জব্দকৃত ভেজাল শিশুখাদ্য সামগ্রী উপস্থিত সকলের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়াও ড্রাগ লাইসেন্স না থাকা, মেয়াদীত্তীর্ণ ঔষধ রাখা, রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা, স্যাম্পল ও লাইসেন্স ছাড়া শিশু খাদ্য বিক্রয় ইত্যাদি বিভিন্ন অপরাধে ঠাকুর বাজারের ৪টি ফার্মেসিকে মোট ২৮,০০০/= হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়াসির আরাফাত। মোবাইল করে সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের একটা টিম।