চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের সম্প্রত্তিগত বিরোধের জেরে নব নির্মানকৃত বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে আশিকাটি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের লিটন প্রধানীয়া বসতবাড়ি ভাংচুর চালায়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, আশিাকাটি হোসেনপুর গ্রামে লিটন প্রধানীয়া তার সম্পত্তিতে একটি টিনের ঘর নির্মান করেন, রমজান মাসে নতুন টিনের ঘরের কাজ শুরু করেন, কাজ শুরু করার কয়েক দিনে পর পূর্ব শক্রুতার জেরধরে কোন ঘর নির্মানের বাঁধা প্রদান করেন তার পাশের বাড়ির একটি পরিবার। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েকবার বসে সমাধাণ করা হয়।
লিটন প্রধানীয়া জানান, তার প্রতিবেশি মোঃ তাফু খান (৬০) পিতা আনোয়ার আলী খান, জাহাঙ্গীর খান (২৪) পিতা মোফাজ্জল খান, ফাতেমা (৫০) স্বামী তাফু খান, হজিলত বেগম (৪০) স্বামী মোফাজ্জল খান, মাসু (৪৫) পিতা আনোয়ার আলী, নজির (৩০) মিলে তার নবনির্মানকৃত বসতঘর ভাংচুর করেন। হোসেনপুরের কলমতর প্রধানীয়ার ছেলে লিটন প্রধানীয়া ৪শত ৮৪ দাগে ৫৮ শতাংশ জমি, সে সম্প্রত্তিতে তিনি বসতঘর নির্মান করেন। এই রমজানের সময় সময় নব নির্মানকৃত ঘরের কাজ করেন। কাজ করার সময়ই তারা অবৈধ ভাবে বাঁধা প্রদান করেন। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দুই পক্ষের সার্ভেয়ারের উপস্থিতিতে সীমানা নির্ধারন করেন। স্থানীয় গন্যমান্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাফু প্রধানীয়ার ৩ফুট সম্পত্তি ছেড়ে দিয়ে ঘর নির্মানের জন্য নির্দেশ দেন, তাফু প্রাধানীয়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিদের কথার সম্মান দিয়ে সীমানার ৩ফুট ছেড়ে দিয়ে বসতঘর নির্মান শুরু করেন। তারপর ও শুক্রবার সকালে তারা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বতসঘর ভাংচুর করেন।
প্রত্যাক্ষদর্শী মোখলেছ পাটওয়ারী, মরিয়ম বেগম, কুদ্দুছ পাটওয়ারী, সাথী আক্তার, ইয়ামিন, তহসিনা আক্তার টনু, ফয়সালসহ বেশ কয়েকজন জানান, ঘটনাটি সত্যি অনাকাংক্ষিত, তারা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, লিটন প্রধানীয়া তার নিজস্ব সম্পত্তিতেই বসতঘর নিমান করছে, এটা নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েক বার বসা হয়েছে। উভয় পক্ষের সার্ভেয়ার বসে তার সমাধাণ করে দেওয়ার পর ও তাফু খানগং বিষয়টি না মেনে ভাংচুর করেন।
ভুক্তভোগীরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য প্রশাননের দৃষ্টি কামনা করেন। এ ঘটনার মামলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে মোফাজ্জল খানের স্ত্রী নামজা বেমগ বলেন, বসতঘর আমরা ভাংচুর করেছি, কারন আমাদের সীমানায় ঘর উঠানো হচ্ছে, সার্ভেয়ার ও জনপ্রতিনিধি যে মাফ দিয়েছে, তা আমরা মানিনা, কারন তারা সরকারি রাস্তায় আমাদের ডুকিয়ে দিয়েছে।