গত দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে ফের ইলিশ ধরতে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল এই দুই মাস নিষেধাজ্ঞাকালীন সময় জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান এর দক্ষ নেতৃত্বে এবারও ব্যাপক সফলতা অর্জন করে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি।
মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৩৬ লাখ ২৮ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৩ হাজার ৩৩৫ কেজি ইলিশ মাছ, ১৭ টি নৌকা, বাল্কহেড ১৯ টি আটক, ১২৬ জন জেলেকে গ্রেপ্তার, মৎস আইন-২০০৯ এ ১৮ টি নিয়মিত মামলা, মোবাইল কোর্টে জরিমানা আদায় ৪৩ হাজার ২০০ টাকা, বাল্কহেড -০৯ পেনাল কোড ২৮০/৩৪:ধারা, করেছে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া অসাধু জেলেদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আবু কাউসার দিদার জানান, সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এবার অভিযান অনেক ভালো হয়েছে। নদীতে প্রচুর জাটকা বিচরণ করতে আমরা দেখেছি। যা সাগরে ফিরে যাচ্ছে। পরবর্তী সময়ে প্রজননের উদ্দেশ্যে আবার নদীতে ফিরে আসবে। আশা করি এ বছর ইলিশ উৎপাদনের ধারা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য যে দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ নদী সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।