ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া
শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত হবে না
……..শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও শ্রমিক সমাবেশ করেছে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখা। ১ মে সোমবার বিকালে চাঁদপুর শহরের বাইতুল আমিন জামে মসজিদের সামনে শপথচত্বরে এ শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। তিনি তার বলেন, ১মে শ্রমিকরা তাদের অধিকার আদায়ে রক্ত দিয়েছে। পৃথিবীর দেশে দেশে শ্রমিকরা এখনো ঘাম-শ্রম আর রক্ত দিয়ে যাচ্ছে। তবুও পৃথিবীর অনেক দেশেই শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। অখচ এদেশের শ্রমিকরা আজো সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা প্রতিটা মুহূর্ত শোষণের শিকার হচ্ছে। অথচ আমাদের দেশের সরকার সারাক্ষণ শুধু উন্নয়নের কথা বলে যাচ্ছে। সরকার মানুষকে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলের গল্প শোনায়। অথচ আমরা পত্রিকা খুলে দেখতে পাই ক্ষুধায় জ্বালায় মা তার শিশু সন্তানকে বিক্রি করে দিচ্ছে। কিস্তির টাকা শোধ করতে না পেরে অটোচালক আত্মহত্যা করে। যে দেশের খেটে খাওয়া শ্রমিকরা জীবন জীবিকার নিশ্চয়তা পায় না, সে দেশের সরকারের মুখে এমন উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের গল্প মানায় না।
তিনি আরো বলেন, এদেশে ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত হবে না। তাই ইসলামী ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নে পীর সাহেব চরমোনাই এর নেতৃত্বে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনে যোগ দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করাতে হবে।
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি আবুল বাশার তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল গাজীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা বোরহানউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাধারণ মো. মহিবুল্লাহ বেপারী, সাবেক জেলা ছাত্র নেতা মাওলানা হেলাল আহমাদ, জেলা শ্রমিক নেতা মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম রাজু, মতলব উত্তর উপজেলা শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রধানিয়া, কচুয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, হাইমচর উপজেলা শ্রমিক আন্দোলনের সদস্য মোহাম্মদ মুক্তার হোসাইন প্রমুখ।
শ্রমিক সমাবেশ শেষে শপথচত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। এতে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগত শত শত নেতা-কর্মী অংশ নেন। তাদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালীটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক হয়ে শহরের বাসস্টেশন ইলিশ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।