শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের বিটুমিন গলে যাওয়ার ঘটনার তদন্তে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সড়কটিতে দুর্নীতির সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে অভিযান পরিচালনা শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত মাদারীপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আতিকুর রহমান একথা জানান। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের মনোহর বাজার থেকে ভেদরগঞ্জের নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার। সড়কটি দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন মেঘনা নদী পাড় হয়ে চট্টগ্রামে চলাচল করে। বর্তমানে দুই লেনের সড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান।
সড়কটি সচল রাখতে ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছর জুন হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভেদরগঞ্জের বালিবাড়ির মোড় থেকে নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার অংশ বিটুমিন দিয়ে কার্পেটিং করে সংস্কার করা হয়। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে শরীয়তপুরের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি হতে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত হওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে সড়কটির কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে বিটুমিন গলে যাচ্ছে।
এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল জাগো নিউজে,‘দাবদাহে সড়কের পিচ গলে আটকে যাচ্ছে চাকায়’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি দুদকের নজরে আসলে জেলা সড়ক ও জনপথ কার্যালয় থেকে সড়কটির সংস্কারকাজের নথিপত্র সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে সড়কটি পরিদর্শন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত মাদারীপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আতিকুর রহমান ও অন্যান্যরা।
এসময় প্রাথমিকভাবে সড়কের পিচ গলে যাওয়ার সত্যতা পায় দুদক দল। পাশাপাশি পিচসহ অন্যান্য মান ঠিক ছিল কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এ বিষয়ে আতিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা যতদূর জানতে পেরেছি আমাদের সড়কে যে বিটুমিন ব্যবহার করা হয় তা ৪৯ থেকে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহনশীল। তবে আমাদের জেলায় এখন পর্যন্ত তাপমাত্রা লিমিট ক্রস করেনি। তবে এর আগেই সড়কটিতে পিচ গলে যাচ্ছে। তাই আমরা সরেজমিনে ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে পিচের নমুনা সংগ্রহ করেছি।
তিনি আরও বলেন, এ সড়কের পিচসহ অন্যান্য মান ঠিক ছিল কিনা তা ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। যদি ঠিক না থাকে তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।