ফরিদগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্র ঠেঁকিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে এক সিকিৎসকের বাড়িতে র্দুর্ধষ ডাকাতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চর মুঘুয়া গ্রামের ফারুক ডাক্তারের ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, গৃদকালিন্দিয়া বাজারে পল্লী চিকিৎসক শাহজাহাল ফরিদ প্রতিদিনের ন্যায় রাত ১০ নাগাদ বাড়িতে গিয়ে খাবার দাবার খেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩ টার সময় কলাপসিবল গেইটের তালা নষ্ট করে ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে। পরে দরজার চিটকেরী খোলার আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায় তাদের। এ সময় রুমের বিতর থেকে পরিচয় জানতে চাইলে ডাকাতদল বলে আমরা থানা থেকে আসছি পুলিশের লোক, এই বলে তাঁরা রুমে প্রবেশ করেই শাহজালাল ফরিদ ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার নিপুকে বেঁধে রেখে নগদ টাকা ও স্বর্ণ গহনা নিয়ে যায়। ডাকাতরা যাওয়ার সময় বাসার বাহিরে লক করে চলে যায়।
ভুক্তবোগী চিকিৎসক শাহজালাল ফরিদ বলেন, ডাকাতরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার বাসায় প্রবেশ করে। আমার গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেঁকিয়ে আমাকে বেঁধে ফেলে। পরে তারা স্বর্ণলঙ্কার ও নগদ টাকাসহ প্রায় একলক্ষ টাকার মালামাল লুটে নেয়।
গৃহবধু ফাতেমা আক্তার নিপু বলেন, ডাকাতরা আমার হাতে বেঁধে আলমারির চাবি নিয়ে যায়। পরে আমার ছেলের শয়ন কক্ষের দরজার বাহির থেকে আটঁকে দেয়। তাঁরা আমাদের স্টিলের আলমারি, কাঠের ওয়ারড্রব খুলে ও সকল মালামাল তছনছ করে আমার কানের দুল ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর ভাই শফিকুর রহমান ফুটন বলেন, আমার ভাইয়ের বাসায় ডাকাতির খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসে জরুরী সেবা (৯৯৯) এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চেয়েছি। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেনি।
এবিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুল ইসলাম শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে এ প্রতিবেদককে বলেন, আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।