বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে আমাদের যদি কোন সঙ্কট হয়ে থাকে তা হচ্ছে শিক্ষায়। যে শিক্ষা আমাদের ভালোবাসার, মনুষ্যত্বের শিক্ষা দেয়, সেটাই হচ্ছে প্রকৃত শিক্ষা। ক্লাসের বাহিরেও যে একটি বড় শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে সেই জায়গাটাতে আমরা নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিত পারিনি। সেটা আমাদের ব্যর্থতা। সেখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। রবীন্দ্রনাথের গান ছাড়াও যে সামাজিক ও মানবিক ভাবনাগুলো ছিলো সেইসব ভাবনাগুলোকেও চর্চা করতে হবে।
শুক্রবার (২৪ মে) দিনগত রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ও ৪২তম জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলনে সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে মানপ্রাপ্ত শিল্পীদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চাঁদপুর আসলে আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। শিল্প সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। শুদ্ধ সাংস্কৃতিকের চর্চা হয়। শুদ্ধ সাংস্কৃতিকের চর্চা হওয়ার কারনেই তারা বিভিন্ন জায়গায় মান পায়। একসময় শহরের হাটলে কোন না কোন ঘর থেকে হারমোনিয়ামের আওয়াজ পাওয়া যেতো। চাঁদপুর সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।
এছাড়াও জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের চাঁদপুর শাখার সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সহ-সভাপতি বুলবুল ইসলাম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি, রবিন্দ্র ভক্তসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।