হাজীগঞ্জে আলোচিত মিতু আক্তার (২১) হত্যা মামলার আসামি মো. হযরত আলীকে (৩০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
রোববার (২৬ মে) দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ এর বিচারক সাহেদুল করিম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি মো. হযরত আলী একই উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালে মিতু আক্তারের সঙ্গে হযরত আলীর মোবাইলে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয়। ওই বছরই তারা উভয়ে হাজীগঞ্জে কাজী অফিসে বিয়ে করেন। পরে শ্বশুর বাড়িতে মিতু নির্যাতনের শিকার হওয়ায় ২০১৬ সালের ২৫ জুন তাদের তালাক সম্পাদন হয়। এরই মধ্যে হযরত আলী প্রবাসে চলে যায় এবং মিতুর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ রাখে। ২০১৭ সালের জুন মাসে আবার দেশে ফিরে আসে এবং পরের মাসের ২৩ জুলাই মিতুকে নিয়ে চাঁদপুর শহরে ঘুরতে আসে।
ঘুরাঘুরি শেষে মিতুকে বাড়িয়ে দিয়ে যায়। ওই দিন রাতেই হযরত আলী ও তার বন্ধুরা মিতুদের বাড়িতে খেতে আসবে বলে জানায়। রাত ৯টার দিকে মোবাইলে হযরত আলী মিতুকে বন্ধুদের তাদের বাড়ির সামনে থেকে এগিয়ে নিতে বলে। মিতু এগিয়ে আনতে গেলে তাকে হত্যা করা হয়। মিতুর মা রাবেয়া বেগম মেয়েকে ঘরে ফিরে আসতে না দেখে স্থানীয় আবদুর রহমানের ঘরের দক্ষিণে পুকুর পাড়ে মিতুর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় মিতুর মা রাবেয়া বেগম পরদিন ২৪ জুলাই হযরত আলীকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ হযরত আলীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
তৎকালীন হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী মজিবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, মামলাটি প্রায় সাতবছর ধরে চলছে। আদালত ১৯ জনের স্বাক্ষ্য নিয়েছেন। আসামি অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।