চাঁদপুর সদর উপজেলা চরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দ বাজার ঘুর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য, কৃষি, প্রাণি ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে নদির পাড় ভেঙে পানির প্লাবনে মৎস্য ও কৃষি খাতে এবং ঘুর্ণিঝড়ে প্রাণী সম্পদ খাতে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান সবচেয়ে বেশি বলে জানা গেছে।
বুধবার ২৯ মে সকালে আনন্দ বাজার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হায়দার সংগ্রাম ভাঙ্গন পরিদর্শন ও সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনেন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চাঁদপুরেও ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকায় পানি জমে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বিভিন্ন স্থানে সড়কে গাছ উপড়ে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে চাঁদপুরবাসীকে।
এসব ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের মধ্যে রোপা আউশ বীজতলা, সবজি, মরিচ, পেঁপে, কলা, আম, পান, আদা সহ মৌসূমী ফসল রয়েছে। কৃষকদের সবজী ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। এছাড়া নদীর তীরে ভেঙে নদী উপকূলবর্তী এলাকার কৃষির ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হায়দার সংগ্রাম বলেন,বিপদাপদ আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে এই দুঃসময়ে আমাদেরকে বেশি করে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে। আমাদেরকে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। একইসাথে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে যেতে হবে। রাষ্ট্রের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সামাজিক সংগঠন দুর্গত মানুষের কাছে শুকনা খাবার, পানি ও চিকিৎসা সেবা পৌঁছাতে হবে। তাদের বাড়িঘর মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।