কচুয়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, কিশোর গ্যাং দমন, আত্যহত্যার প্রবণতা রোধে সচেতনতামূলক সভা ও চাঞ্চল্যকর সাব্বির হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন আসামী গ্রেফতার করায় ও অন্যান্য কাজে সফলতা অর্জন করায় চাঁদপুর জেলায় তৃতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরষ্কার অর্জন করেছেন। মাদক, নাশকতা প্রতিরোধ, চুরি-ছিনতাই, চাঁদাবাজি এবং ডাকাতি দমন করে এ পুরষ্কার অর্জন করেন। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) চাঁদপুর পুলিশ লাইন্স-এ মাসিক কল্যাণ সভায় জেলার অন্যান্য উপজেলার পুলিশী কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) তাকে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারী ও এপ্রিল মাসে পর পর দুবার ৮ থানার মধ্যে পুলিশী সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা করে তাঁকে শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরষ্কৃত করা হয়।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীমা চাকমা, হাজীগঞ্জ সার্কেল পঙ্কজ কুমার দে, কচুয়া সার্কেল রিজওয়ান সাঈদ জিকুসহ জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় কচুয়া থানার অফিসার ইচনার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, যেকোনো পুরষ্কার ভালো কাজের গতি বাড়ায়। আমাকে এ পুরষ্কারে মনোনীত করায় চাঁদপুরের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) মহোদয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা চাই।
উল্লেখ্য যে, কচুয়া থানায় কর্মরত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারী বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে এসআই পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি একই পদে রামগতি, চিটাগং, কুমিল্লা ও ডিএমপিতে সুনাম ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পদে দেবীদ্বার, মতলব উত্তর, আখাউড়া ও বরিশাল জেলায় ডিবি পুলিশে দায়িত্ব পালন শেষে কচুয়া থানায় যোগদান করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক।