চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবের মক্কার তাপপ্রবাহ বিরাজ করবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।
মঙ্গলবার সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের সিইও আইমান গোলাম হজ মৌসুমের আবহাওয়া বিষয়ে জানিয়েছেন।
সৌদি সংবাদ মাধ্যম আল আখবারিয়া জানিয়েছে, এ বছর হজের কার্যক্রম পালনের সময় তাপমাত্রা ৪৫-৪৮ ডিগ্রির মাঝামাঝি থাকতে পারে।
হজের স্থানগুলোতে দিনের বেলা তাপপ্রবাহ থাকবে। একইসঙ্গে হজের পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবল বাতাস থাকবে। এতে খোলা জায়গা এবং মহাসড়কে ধুলো এবং বালি ঝড় বইতে পারে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার হতে পারে।
জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আরজান জামরাক বলেছেন, আগামী বছর গ্রীষ্মের শেষে হজ মৌসুম অনুষ্ঠিত হবে।
‘এরপর আট বছর হজের মৌসুম আসবে বসন্তে ও পরবর্তী আট বছর হজের মৌসুম আসবে শীতকালে’।
তিনি বলেন, বিরূপ আবহাওয়ার জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হজ পালনের জন্য এখন পর্যন্ত (৫ জুন রাত ২টা ৫৯) বাংলাদেশ থেকে সৌদি পৌঁছেছেন ৬০ হাজার ৭৯৯ জন হজযাত্রী। মোট ১৫৬টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান।
এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ১৫৬ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ৫৬ হাজার ৬৩৪ জন। আবেদনের বিপরীতে শতভাগ ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
হজ পালন করেতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে মক্কায় সাতজন এবং মদিনায় তিনজন। সর্বশেষ মদিনায় মাকসুদ আহমেদ (৬১) নামে একজন মারা গেছেন। চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী মারা যান।
এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। হজের শেষ ফ্লাইট যাবে ১২ জুন।
এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ২৫২ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৫৬২ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৮০ হাজার ৬৯৫ জন। প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসেবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।