ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থিক এবং পরীক্ষা পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি, বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিষয়ের ওপর প্রতিযোগিতা, অধ্যক্ষ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের নানা নানামুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এসব কর্মকাণ্ডের কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা প্রতিষ্ঠিত হবে। মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে ও মাদ্রাসা পরিচালনায় একাডেমিক, প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আর্থিক স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা আনয়নে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর।
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘প্রাথমিক পাঠদান ও পরীক্ষাকেন্দ্রের অনুমতিপ্রাপ্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক ও পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক’ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।অধ্যক্ষদের উদ্দেশে ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বলেন, আলিম স্তর থেকে ফাজিল স্তরে ও ফাজিল থেকে কামিল স্তরে উন্নীত করে পাঠদানের অনুমতি পাওয়া মাদরাসাগুলো তাদের যথাযোগ্য শর্ত ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা পূরণের মাধ্যমেই পাঠদানের সুযোগ পেয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ও শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাদ্রাসাগুলোতে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদানের সুব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে।
একজন দক্ষ শিক্ষকই একজন যোগ্য ছাত্র তৈরির কারিগর উল্লেখ করে ভিসি বলেন, এই প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন ও মিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের তাদের নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োগ করতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কর্মশালায় মাদ্রাসার একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সিরাজ উদ্দিন আহমাদ, ছারছীনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদ্রাসা পিরোজপুরের সাবেক অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শরাফাত আলী। দেশের বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রায় ১৩০টি মাদ্রাসার অধ্যক্ষরা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আলিম স্তর থেকে ফাজিল স্তরে উন্নীত হওয়া মাদ্রাসার সংখ্যা ২৭টি, ফাজিল স্তর থেকে কামিল স্তরে উন্নীত হওয়া মাদ্রাসার সংখ্যা ৪৪টি, নতুনভাবে অনার্স ও মাস্টার্স চালু হওয়া মাদ্রাসার সংখ্যা যথাক্রমে ৮টি ও ১৪টি এবং পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ফাজিল, কামিল ও প্রাইভেট মাদ্রাসার সংখ্যা যথাক্রমে ২২টি, ৯টি ও ৬টি।