কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাঁদপুরে জমে উঠেছে পশুর হাট। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বেচাকেনা। পশুর হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাপারীরা আসছেন। জেলায় ছোট ছোট বেশ কিছু খামারে পালন করা হয় দেশি-বিদেশি জাতের গরু। এসব গরু প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘাস, খড়সহ দানাদার খাদ্য খেয়ে বেড়ে উঠে।
চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলার ৮ উপজেলার তিন হাজারের অধিক খামারি এ বছর কোরবানিতে বিক্রির জন্য ৮১ হাজার ৮৯০টি পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে ছাগল রয়েছে ২৬ হাজার। উত্তরবঙ্গ থেকে অনেক ব্যাপারী জেলার হাটগুলোতে পশু নিয়ে এসেছেন। তাই জেলার চাহিদার তুলনায় পশুর ঘাটতি নেই।
মঙ্গলবার (১০ জুন) চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী চৌরাস্তা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সফরমালী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটগুলোতে কোরবানিকে সামনে রেখে ব্যাপক জমে উঠেছে। ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষিতে চলছে পশু কেনা-বেচা। হাটের বেশির ভাগ গরু উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে লালনপালন করা বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। তবে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীদের দাবি বাজারে ভারতীয় গরু আসায় তারা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।