পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের মূল কারণ নদী থেকে রাতের আঁধারে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। বালু ব্যবসায়ীরা স্থানীয়দের সঙ্গে যোগসাজশ করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিপুল টাকার মালিক হয়। কিন্তু তাদের কারণে সরকারের প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাঁধ ধসে পড়ে। তখন স্থানীয় জনগণ ও মিডিয়া আমাদের দোষারোপ করে।
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী গাওদিয়া ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে পদ্মা নদীর গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার নদীচর বিলীন হয়ে যাওয়ায় কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নতুন কয়েকটি এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জাহিদ ফারুক বলেন, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পদ্মার তীর সংরক্ষণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এই এলাকাগুলো স্থায়ী বাঁধের আওতায় আসবে।
এ সময় মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন এবং লৌহজং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বি এম শোয়েব উপস্থিত ছিলেন।