পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য পুলিশের প্রতিটি সদস্য সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। ঈদের সময় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল আজহা নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে। আমরা এ আশাই করছি।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে চান্দনা চৌরাস্তা মোড়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় এডিশনাল আইজিপি (ক্রাইম) আতিকুল ইসলাম, হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলমসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশের প্রতিটি সদস্য নিজের ঈদ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে না করে দেশের সেবা, মানুষের সেবা, দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিয়ে আমরা গর্ববোধ করি, আনন্দ উপভোগ করি। সেবাই আমাদের উৎসব, সেবাই আমাদের আনন্দ এই ব্রত নিয়ে ঈদে আমরা দায়িত্ব পালন করতে থাকি এবং মানুষকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকি।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভ্রমণ করে থাকেন। এজন্য পর্যটকের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আর ট্যুরিস্ট পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী জেলা পুলিশ ও মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
তিনি বলেন, ঈদে যে সকল মানুষ ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে যাবেন তারা যেন নিজেদের বাসা বাড়ির সিসি ক্যামেরাগুলো সচল আছে কিনা তা ঠিক মতো কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখেন। যে কোনো সমস্যার জন্য নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ কিংবা প্রয়োজনে ৯৯৯ এ ফোন করেও পুলিশের সহায়তা পাওয়া যাবে। ঈদ উপলক্ষ্যে কোনো ব্যবসায়ী যদি বড় অংকের টাকা-পয়সা পরিবহন করতে চান তাহলে তাদের কেউ পুলিশের সহায়তা নিতে পারেন।
আইজিপি বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। কোনো পশু নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার পথে যদি কেউ গাড়ি থামিয়ে চাঁদা দাবি করে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিবহন শ্রমিক ও চালকদের আইন মেনে চলতে এবং ফিটনেসবিহীন কোনো যানবাহন সড়কে না নামাতে পরিবহন মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও ঘরমুখো যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, পিকআপ বা অন্য কোনো অনিরাপদ যানবাহনে গন্তব্যে না যাওয়র আহ্বান জানান আইজিপি।