হাইমচর উপজেলার তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া নামীয় কথিয় কর্মচারীর ও তার শ্বশুর সহিদ মিজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ভুক্তভোগীরা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। গতকাল বুধবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগীদেন পক্ষে লিখিত বক্তব্য প্রেস করেন ফরিদ আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন, দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম ভূইয়া বাড়ীর মৃত জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার ছেলে মো. তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া হাইমচর উপজেলার দীর্ঘদিন যাবৎ আউট সোর্সিং পদে কর্মরত। উক্ত পদের ক্ষমতা বলে মো. তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া এলাকার মানুষের নিকট নিজেকে উপজেলার একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় প্রদান করেন। কথিত কর্মচারী তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম (লিটন) সহ বিভিন্ন সময় এলাকার মানুষকে তার স্ত্রী রেহানা বেগম ও শ্যালোক শরিফুল ইসলামকে বাদী বানিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে অবৈধভাবে লোকজনের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করিলে বিভিন্ন সমেয় প্রতিবাদকারীদেরকে কুপিয়ে রাক্তাক্ত যখম করে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১২ মে মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করে। এবিষয়ে ২০ মে আহত আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে হাইমচর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং জিআর ৭৪, ২০/০৫/২০২৪ ইং। মামলা করার পর মো. তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এলাকায় অত্যাচর ও তান্ডব চালাতে থাকে। এলাকাবাসী তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে ২ জুন মানববন্ধনসহ উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ পেশ করা হয়। এতোকিছু করার পরও তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে তাজুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে আনিত জিআর ৭৪ মামলা হতে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ২০ মে উল্লেখিত স্মারক নং ০৫.৪২.১৩৪৭.৫২৯.০১.০১৪.২৪-৫৩৫ প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন। এছাড়াও ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুলিশ পুসার বরাবর অভিযোগ প্রদান করা হয়। যার স্মারক নং ১৬২৯ প্রতিবেদন পেশ করেন।
লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ্য করেন, তাজুল ইসলামের ছোট ভাই লিটন ভূঁইয়া এলাকায় সুপারি চুরি, সিদকাটা, সন্ত্রাসী কয়দায় চাঁদা দাবি করে মানুষকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার তার বিরুদ্ধে অসংখ অভিযোগসহ থানায় মায়লা রয়েছে। তারা এলাকায় সব সময় আতঙ্কিত করে রাখেন। এদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে জীবন জাপন করে আসছেন। ইতিপূবে বিভিন্ন মহলে দরখাস্ত করলেও সে প্রভাব ও ক্ষমতা খাটিয়ে তাহা নিষ্পত্তি করে দেয় ।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইহা ব্যতিত সর্ব মহলে প্রভাব খাটিয়ে তাহার শ্বশুর সহিদ মিজি নামীয় ব্যক্তির নামে এলাকার নিরীহ মানুষের জমির দলিল জাল করা, ভূমি আত্মসাৎ করা, প্রভাব খাটিয়ে খারিজ খতিয়ান করাসহ নিরীহ মানুষদের সর্বহারা করিয়া ভূমি ছাড়া করিয়া ফেলে। উপজেলা ভূমি অফিসে প্রয়োজনীয় দলিল, নকল, খারিজ করতে আসলে তাজুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে উপরোক্ত সকলকে হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এভাবেই কথিত তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া অর্থ আত্মসাৎ, তার শ্বশুর সহিদ মিজির নামে অবৈধ ভূমি দখল, অবৈধ জাল দলিল করা, অবৈধ খতিয়ান করে নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে।
তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া ও তার শ্বশুর সহিদ মিজির অত্যাচারে ভুক্তভোগীরা হলেন- মো. সিরাজ মিজি, মো. হানিফ মিজি, মো. আবদুল বেপারী, নুরুল আমিন ভূঞা, রবিউল ভূঞা, রাশেদা বেগম, শাহ আলম ভূঁইয়া, মো. নুরুল আলম ভূঞা, মো. শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, ফরিদ আহমেদ, মো. তারেক ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম গাজী, অহিদ দেওয়ান, আবদুর রহিম দেওয়ান, আবদুর রশিদ ভূঁইয়া, জনু ভূঁইয়া, আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, মুনছুর দেওয়ান, সৈয়দ আহমেদ দেওয়ান, নূরজাহান, ফয়সাল, রুমা, বাবুল বেপারী, জান্নাত, মুন্নি আক্তার, সুফিয়া, মানিকা, আঃ রহমান, শাকিল, জাহানারা, রাকিব, কবির, ৩৩. ফারবিন, মনির হোসেন, হোসনে আরা, আমেনা, বিথি, জাহাঙ্গীর, রিনা বেগম, রানু, কাউছার, রনি, রহিম, আবদুল্লাহ, মুনছুর দেওয়ান, সৈয়দ দেওয়ান, আমল মিজি, মনির মিজি, ইমরান, হেলাল মিজি, নাঈম ভূঁইয়া, হাবিব, হাবিল, মিলন, জাবেদ, আবেদ, আবদুল্লাহ। সবার ঠিকানা হাইমচর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ আলগী।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তেন সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান মাহবুবুর রহমান সুমনের পরিচালনায় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্যাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, এনটিভির জেলা প্রতিনিধ শরীফুল ইসলাম, ৭১ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আল আমিনসহ আরো অনেকে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. সিরাজ মিজি, মো. আবদুল বেপারী, নুরুল আমিন ভূঞা, রবিউল ভূঞা, জহিরুল ইসলাম গাজী, জনু ভূঁইয়া, আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, বাবুল বেপারী, জাবেদ।