হাইমচরের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিম ও তার সহযোগী মাদক বিক্রয়ে অর্থ দাতা মো. ফরিদ আহমেদসহ সকল মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচার জুলুম নির্যাতন থেকে রক্ষায় ভুক্তভোগীরা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। গতকাল শনিবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগীদেন পক্ষে লিখিত বক্তব্য প্রেস করেন মো. শরীফ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন, আমি মো. শরিফ হোসেন। আমার বাবা মো. সহিদ মিজি একজন বয়স্ক বিধায় আমি আপনাদের সম্মুখে চাঁদপুর জেলাধীন বিভিন্ন উপজেলায় চুরি, চিন্তাই ও ডাকাতির আসামী এবং হাইমচর উপজেলার কুখ্যাত মাদক সম্রাট মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিম ও তার সহযোগী মাদক ব্যবসায় অর্থ দাতা মো. ফরিদ আহম্মেদ কর্তৃক চলতি বছরের ২৬ জুন সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্যের তীব্র নিন্ধা জ্ঞাপন করে সত্যতা তুলে ধরছি আপনাদের সামনে। আপনারা সকলেই জানেন বিগত ১০-১৫ বছর ধরে মাদক ব্যবসাসহ এলাকায় বিভিন্ন চুরি, চিন্তাই করছেন মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিমসহ তার পরিবার। তাদের বিরুদ্ধে হাইমচর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। মামলা সংক্রান্ত তথ্য নিচে দেওয়া হলো। মামলা নং-১ হাইমচর থানার এফআইআর নং ৭/৫৮, তারিখ: ১৮/০৯/২০১৯, ধারা- ৩৬(১) সারণির ১০(ক)/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮। মামলা নং-২ চাঁদপুর মডেল থানার এফআইআর নং ২৬/৬৩৮, তারিখ: ১১/১১/২০১৮ ধারা ১৯(১) এর ৯ (খ) ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন। মামলা নং-৩ ফরিদগঞ্জ থানার এফআইআর নং ৭/২৬৩, তারিখ: ০৪/০৯/২০২০, ধারা: ৪৫৪/৩৮০ প্যানেল কোড ১৮৬০। মামলা নং-৪ ফরিদগঞ্জ থানার এফআইআর নং ১৭/১৪২, তারিখ: ২১/০৫/২০২০, জি.আর নং ১৪২, তারিখ: ২১/০৫/২০২০, ধারা: ৩৭৯/৪১১ প্যানেল কোড ১৮৬০। মামলা নং-৫ হাইমচর থানার এফআইআর নং ০৮, তারিখ: ১৮/০৮/২০১৫, জি.আর নং ৪৪, তারিখ: ১৭/০৮/২০১৫, ধারা: ১৪৩/ ৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/২২৫-খ/৩০৭ প্যানেল কোড ১৮৬০। মামলা নং-৬ হাইমচর থানার এফআইআর নং ০৭, তারিখ: ১৭/০৮/২০১৫, জিআর নং ৪৩, তারিখ: ১৭/০৮/২০১৫, ধারা: ১৯(১) এর ৯(ক) ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন। মামলা নং-০৭ হাইমচর থানার এফআইআর নং ০৯, ২৯/০৬/২০১৫, জিআর নং ৩৩, তারিখ: ২৯/০৬/২০১৫, ধারা: ১৯(১)৯(ক) ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য তারিখ: নিয়ন্ত্রন আইন। মামলা নং-০৮ হাইমচর থানার এফআইআর নং ০২/৭৯, তারিখ: ০৫/০৮/২০২১, ধারা: ৩৬(১) সারণির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন, ২০১৮। মামলা নং-৯ হাইমচর থানার মামলা নং ০৭/২০২৩, তারিখ ২০/১১/২০২৩, ধারা ১৪৩,৩২৩, ৩০৭, ৩২৪, ৩৭৯, ৫০৬ এর(২) ১০। হাইমচর থানার মামলা নং ৭৫/২০২৪, তারিখ ২০/০৫/২০২৪খ্রি: ধারা ১৪৩, ৩২৩, ৩০৭, ৩২৪, ৩৪৭, ৪৪৯ ও ৫০৬ (২)।
এছাড়াও তার সিডিএম পর্যবেক্ষনে দেখা যাবে আরো মামলা রয়েছে এবং আপনারা সকলেই অনলাইন গুগুলে চার্জ করুন কানা জসিম লিখে তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এমনকি তার খালাত ও মামাত ভাই সকলেই এই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। যা আপনাদের সুষ্ঠু ও বস্তুনিষ্ট সংবাদের মাধ্যমে সত্যতা উদঘাটন করা যাবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ্য করেন, দক্ষিণ আলগী গ্রামে আমরা একটি বিদ্যালয় স্থাপন করি ঐ বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যালয়ের সম্মুখে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করি। তারা বিদ্যালয়ের সম্মুখের রাস্তা দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতে অসুবিধা হয় মর্মে বহুবার আমাদেরকে হুমকি দেয় সিসি ক্যামেরা অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ার জন্য। আমারা তাদের কথামত সিসি ক্যামেরা অন্যেত্রে সরিয়ে নেইনি। এতে করে মাদক ব্যবসাইরা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া বর্তমানে আমার বোনের জামাই মো. তাজুল ইসলামকে জড়িয়ে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা এবং বানোয়াট কথা বলে, তার মানসম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এমনকি গত কিছু দিন পূর্বে এলাকায় মাদক নিয়ে একটি মারামারি সংঘঠিত হয়। সেখানে আমার বেয়াই ওমান প্রবাসী লিটন সেখানে গেলে তার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া কানা জসিম লিটনের হাতে কোব মারে লিটন ডাক চিৎকার দিলে মানুষজন আসলে লিটনকে ঘটনাস্থল হতে সরিয়ে নিলে কানা জসিম মাদকাশক্ত অবস্থায় লিটনকে কোবাইতে না পেরে নিজের হাতে নিজেই কোব মারিয়া আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন এবং ঘটনাস্থলে আমার বোনের জামাই মো. তাজুল ইসলাম ছিলনা তাকেও এ মামলায় জড়ায়। আমার বোনের জামাই আমাদেরকে শুধু জমির কাগজপত্র সংক্রান্ত কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু তারা আমার বোনের জামাইকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির চেষ্টা করছেন। বর্তমানে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিম ও তার ভাই নয়ন ভূঁইয়া এবং তাদের বাবা মো. আনোয়ার হোসেন ও রবিউলসহ কয়েকজন আমাদের সঠিক কাগজপত্রের ভোগদখলকৃত প্রভাবশালী আ. রশিদ ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম গাজী ও মাদক ব্যবসায় সহযোগী মো. ফরিদ আহমেদ, শাহআলম ও নুরুল ইসলাম। তারা জমি জোর পূর্বক দখলে রাখার জন্য কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিমের সাথে ২০ লাখ টাকা কন্ট্রাক্ট করে আমার বোনের জামাইকে, আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে আমাদের জমি জোরপূর্বক দখলে রাখবেন বলে হুমকি প্রদর্শন এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে আসছে এবং তারা সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মুখে কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীদের আতংক করার জন্য মহরা দিচ্ছেন এবং স্কুলের সম্মুখে মাদক সেবন করে অকর্থভাষায় গালিগালাজ করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী কানা জসিম এলাকার সম্মানিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা রটাচ্ছেন এর তীব্র নিন্ধা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিমের সহযোগী ও মাদক বিক্রয়ে অর্থ দাতা মো. ফরিদ আহমেদ যা বলেছেন সম্পূর্নরুপে মিথ্যা ও বানোয়াট এর তীব্র নিন্ধা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এলাকায় তাদের সাথে কারোর কোন কথাকাটাকাটি হলেই মামলা হামলার স্বীকার হতে হয়। কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আমার বা আমাদের পরিবারের কারোর সাথেই কখনি সখ্যতা/সম্পর্ক ছিলনা বা থাকতে পারেনা। আপনারা অনেকই জানেন এই মাদক ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিম ও তার বাবা মো. আনোয়ার হোসেন মরইন্নাকে ১০০০ হাজার পিস ইয়াবাসহ হাইমচর থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে গেলে অতর্কিতভাবে পুলিশের উপর হামলা চালায় কানা জসিম ও তার বাবা আনোয়ার হোসেনসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা। এতে কয়েকজন পুলিশ মারাত্বকভাবে আহত হয়। বর্তমানে তাদের এ মাদক ব্যবসা থেমে থাকেনি এবং এখনো চলছে, তারা এ ব্যবসা পরিচালনা করে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ নেই। গত ২ বছর আগে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিম ও মাদক ব্যবসায়ী তার বাবা মো. আনোয়ার হোসেন আমাদের জমি উদ্ধার করে দিবেন। আমরা তাদেরকে ২ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেন। আমরা তাদের কথায় রাজী না হওয়ায় বতর্মানে প্রভাবশালী ও তাদের মাদক ব্যবসার অর্থ দাতা মো. ফরিদ আহমেদের সাথে যোগসাজশে আমাদের উপর জুলুম-অত্যাচার, মামলা হামলা ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। কয়েকদিন পরপরই তাদের ভারাটিয়া সন্ত্রাসীসহ দলবল নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় আবার আমাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছেন।
লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ্য করেন, গত ৩ বছর ধরে আমার জেঠা মো. সিরাজুল ইসলাম মিজির সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। আমার জেঠা মো. সিরাজুল ইসলাম মিজি গত ১৯৯৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বও আমাদের বসবাসকৃত বাড়ীতে ৪৪ শতাংশ জমি তার অংশ বিক্রি করে দলিল সম্পাদন করে দেন। আমার বাবা তৎকালীন ঢাকাতে সাব কন্টেকটারী করতেন। আপনারা জানেন তৎকালীন জমি বিক্রেতা/দাতা দলিল সম্পাদনের জন্য সাবরেজিষ্ট্রী অফিসে যেত, গ্রহীতা সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে যেত হতনা সেই সুযোগ নিয়ে আমার জেঠা মো. সিরাজুল ইসলাম মিজি দলিলের সকল কার্যক্রম সম্পাদন করে রেখেছেন। আমার বাবা জমি ক্রয়ের প্রায় ৭/৮ বছর পরে আমার জেঠা থেকে দলিল চাইলে দেই দেচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করেন। এক পর্যায় তৎকালীন আমার ফুফু মরহুম ছলেমা খাতুনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাকে চাপ সৃষ্টি করলে আমাদেরকে তিনি একটি দলিল দেন। সেই দলিল দিয়ে আমারা নামজারী জমাখারিজ করে প্রায় ৩৫/৪০ বছর ধরে বাড়ীতে বসবাস করছি। গত ৩ বছর পূর্বে আমাদের পুরাতন বাড়ীতে দাদার সম্পত্তি ভাগ ভাটোয়ারা করার সময় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মুখে আমার জেঠা মো. সিরাজুল ইসলাম মিজি বলেন আমার পিতা মো. সহিদ মিজিকে তোমার বাড়ীতে আমার জমি আছে তুমি এ জমি ছেড়ে দিলে আমি তোমাকে ঐ জমি দিব। তখন আমার পিতা সকলের সম্মুখে বলেন ভাই আপনিত আমার কাছে আমার বাড়ীর জমি বিক্রি করেছেন এবং টাকা নিয়েছেন ও দলিল দিয়েছেন। তখন সিরাজুল ইসলাম মিজি বলেন তোমার কাছে জমি বিক্রি করেছি ঠিক আছে, টাকা নিয়েছি কিন্তু দলিল সঠিক করে দেইনি। একপর্যায় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাকে বসে সমাধানের জন্য প্রস্তাব দেন কিন্তু তিনি কারোর কথা কর্ণপাত করেননি। আমারা তখন চাঁদপুর জেলা রেকর্ডরুমে গিয়ে দলিল তল্লশি দিয়ে দেখি দলিলটি আমাদেরকে সঠিক করে দেয়নি এবং দলিলটি রেকর্ড বহিতে ইস্যু করা হয়নি। আমরা এলকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের আলাপ আলোচনায় চাঁদপুর আদালতে আমার জেঠা মো. সিরাজুল ইসলাম মিজির বিরুদ্ধে একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করি। মামলা নং ৯২/২০২৩ উক্ত মামলায় তদন্তের জন্য সিআইডিকে দেন।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন, সিআইডি প্রায় ১ বছর তদন্ত সাপেক্ষে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে উক্ত দলিলের স্বাক্ষর মো. সিরাজুল ইসলাম মিজির যা তার অন্যান্য বিক্রিত দলিলের স্বাক্ষর মিলিয়ে প্রমানিত হয় এবং উক্ত দলিলটি সিরাজ মিজি কর্তৃক তার ভাই মো. সহিদ মিজি দিয়েছেন মর্মে এলাকার গন্যমান্যের স্বাক্ষীতে প্রমানিত হয় ও সিরাজ মিজি কর্তৃক উক্ত ৪৪ শতাংশ জমি বিক্রয় করছেন মর্মে প্রমানিত হয়। উক্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মহামান্য আদালত মো. সিরাজ মিজির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। সেই প্রেক্ষিতে হাইমচর থানা পুলিশ থাকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোর্পদ করেন। এছাড়াও আপনার দেখুন এই ৫৬৭ নং খতিয়ানে (সংযুক্ত-০৪) আমাদের জেঠা মো. সিরাজুল ইসলাম মিজি, মো. সহিদ মিজি ও মো. হানিফ মিজির নামে ২.৬২ শতাংশ জমি। যার দাগ নং হচ্ছে: ১৬০৭, ১৬১৭, ১৬১৪, ১৬১৯,১৬১৮ উক্ত ৫টি দাগের অন্দরে আমার পিতা পাওয়ানা প্রায় ৮৬.৪৬ শতাংশ জমি। তন্মোধ্যে আমার বাবা বিক্রি করেন ৪৩ শতক বাবার অবিক্রিত ৪৩.৪৬ শতক এবং আমার চাচা মো. হানিফ মিজি হতে ৯৮৭ নং দলিল (সংযুক্ত) মূলে ১৬১৯ দাগে ১০ শতক ক্রয়কৃত সর্ব মোট ৫৩.৪৬ শতক জমি রয়েছে। যা আমার জেঠা মো. সিরাজুল ইসলাম মিজি বিভিন্ন সময়ে আমার বাবার সাথে প্রতারনা করে বাবার সম্পত্তি এলাকার প্রভাবশালী রশিদ ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া, জহির আহমেদ গাজী, শাহআলম ভূঁইয়া, মো. নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও ফরিদ আহমেদের নিকট বিক্রি করেন। তারা প্রভাব খাটিয়ে বর্তমানে জোর পূর্বক দখল করে রেখেছেন। পরবর্তীতে আমরা আদালতে একটি বন্টন নামা/উচ্ছেদ মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং ৬৩/২০২৩। উক্ত মামলার অধীনে মহামান্য আদালত দাগের অধীনে নিষেজ্ঞা আরোপ করেন।
সন্ত্রাসী ও প্রভাবশালীদের ভূমি দখলের বর্ণনা
প্রভাবশালী আ, রশিদ ও জয়নাল আবেদীন আমার পিতা ও জেঠা এবং চাচা থেকে ১৬১৯ দাগে জমি ক্রয় করেন ২০ শতক যা তাদের নামজারী জমা খারিজ অনুযায়ী ১৩০/২০০৫-২০০৬ (সংযুক্ত কারিজ খতিয়ান-০৬)। কিন্তুআদালতের কমিশনার কর্তৃক প্রতিবেদনে সরেজমিন পরিমাপ করে তাদেও দখলে ৪৪.৪১ শতক পাওয়া যায়। যা তারা জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় দখল করে রেখেছেন প্রায় ২৪.৪১ শতক বেশি (কমিশনারের প্রতিবেদন সংযুক্ত-০৭)।
প্রভাবশালী আ. রশিদ ও জয়নাল আবেদীন আমার পিতা ও জেঠা এবং চাচা থেকে ১৬১৭ দাগে জমি ক্রয় করেন ২২ শতক যা তাদের নামজারী জমা খারিজ অনুযায়ী ১৩০/২০০৫-২০০৬ (সংযুক্ত কারিজ খতিয়ান-০৬)। কিন্তুআদালতের কমিশনার কর্তৃক প্রতিবেদনে সরেজমিন পরিমাপ করে তাদেও ‘দখলে ৩৮.০৭ শতক পাওয়া যায়। যা তারা জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় দখল করে রেখেছেন প্রায় ১৬.০৭ শতক বেশি।
জহিরুল ইসলাম গাজী আমার পিতা ও জেঠা এবং চাচা থেকে ১৬১৭ দাগে জমি ক্রয় করেন ২২.৭৫ শতক যা তার নামজারী জমা খারিজ অনুযায়ী ১২৮/২০১৫-২০১৬ (সংযুক্ত খারিজ খতিয়ান-০৮)। কিন্তুআদালতের কমিশনার কর্তৃক প্রতিবেদনে সরেজমিন পরিমাপ করে তার দখলে ৪৪.০৭ শতক পাওয়া যায়। যা তিনি জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় দখল করে রেখেছেন প্রায় ২১.৩৭ শতক বেশি।
কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিম তার সহযোগী অর্থ দাতা মো. ফরিদ আহমেদ, মো. শাহআলম এবং মো. নুরুল ইসলাম কর্তৃক জৈনক আফাজ উদ্দিন নামক ব্যক্তি হতে ৪৫ শতক জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ক্রয়কৃত ভূমি দখল না করে বিএস খতিয়ান ৫৬৭ এ সংযুক্ত ১৬০৭ দাগে যা বিএস ম্যাপের অর্ন্তভুক্ত। উক্ত খতিয়ানে ৩ ভাই মো. সিরাজুল ইসলাম মিজি, মো. সহিদ মিজি, মো. হানিফ মিজি নামে ৩৭ শতক জমি অর্ন্তভুক্ত হয়। ৩ ভাইয়ের অংশ অনুযায়ী তারা আমার বাবার ১২.৫৫ শতক জোর পূর্বক দখল করে রেখেছেন। এছাড়াও তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি ৪৫ শতক কিন্তু কমিশনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রায় ৪৭ শতক জমি দখল করে রেছেন। তন্মোধ্যে তাদের কাছে আমার বাবা কোনরূপ জমি বিক্রয় করেননি। তারা সন্ত্রাসী কায়দায় জোর করে আমাদের জমিতে বিল্ডিংসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরী করছেন (ক্রয়কৃত সম্পত্তির দলিল সংযুক্ত: ০৯)।
জৈনক আবদুল বেপারীর পিতা ইদ্রিস বেপারী, জেঠা জাফর আলী বেপারী, চাচা আমির আলী বেপারীর ক্রয়কৃত প্রায় ৯০ শতক জমি তৎকালীন লোভনীয় হয়ে তার নামে বিএস খতিয়ান অর্ন্তভুক্ত করেন। উক্ত ৯০ শতক ভূমিতে তার সহদর ভাই ও চেঠাত ভাই এবং চাচাত ভাই বোনেরা বসতবাড়ী করিয়া থাকিতেছেন। আবদুল বেপারী নিজ নামে প্রায় ৬৩ শতক জমি তৎকালীন ক্রয় করেন ওখান থেকে তিনি প্রায় ৩২ শতক জমি অন্যত্রে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে প্রায় তিনি ৭৫ শতক জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। উক্ত ক্রয়কৃত সম্পত্তি তার চাচাত ভাই মো. জয়নাল আবেদীন বেপারী, তার সহদর ভাই মো. আবুল হাশেম বেপারী, আবুল কাশেম বেপারী ও আবদুল মোতালেব বেপারীর নামে বিএস খতিয়ান অর্ন্তভুক্ত করেন। আবদুল বেপারী ভাইদের নামে বিএসকৃত সম্পত্তি নিজে দখল করে রেখেছেন আর তার নামে বিএসকৃত সম্পত্তি ভাই ও চাচাত ভাই বোনদের দখলে দিয়েছেন। অথ্যাৎ তিনি একজন পরিকল্পিত ডকবাজ ও নিকৃষ্ট একজন ব্যক্তি বলে আমি আখ্যাতি করছি কারণ তিনি তার ভাই বোনদের যে জমি দিয়েছেন সেই জমি তার ৩ ভাই মো. আবুল হাশেম বেপারী, আবুল কাশেম বেপারী ও আবদুল মোতালেব বেপারী আমাদের কাছে বিক্রি করেন আমরা বিক্রি সূত্রে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে নাল জমি ভরাট করে বর্তমানে সেখানে ৮ বছর পূর্বে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিমের দলবল সাথে নিয়ে আমাদেরকে ও নিরীহ আবদুল বেপারীর চাচাত বোন পারুলকে বিভিন্ন মামলা-হামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। তার নামীয় ১৭১নং বিএস খতিয়ান সংশোধনের জন্য আদালাত, চাঁদপুর এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৭৪/২০২৩ (সংযুক্ত খতিয়ান সংশোধন মামলার কপি সংযুক্ত-১০)।
এছাড়াও কুখ্যাত মাদব ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিম ও তার সহযোগী মাদক বিক্রয়ে অর্থ দাতা মো. ফরিদ আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন ভুয়া জাল দলিল, ভুয়া খারিজ খতিয়ান ও ভুয়া খাজনা আদায় রশিদ নাকি তৈরী করা যায়। বর্তমান অনলাইন যুগ। সকল তথ্যই তাৎক্ষনিক অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা যায়। আপনারা অব্যশই জানেন। আমি বলতে চাই তাহলে আপনি ফরিদ বিগত কয়েক বছর পূর্বে জমি ক্রয় করেছেন আপনি কেন নিজ নামে নামজারী জমাখারিজ খতিয়ান তৈরী করতে পারেন নাই। অথ্যাৎ আপনার জমি ক্রয় করাই ছিল অবৈধ এবং আপনারা সবাই অবৈধ দখলদার। আপনারা এহেন মিথ্যা ও বানোয়াট কথা প্রচার করে আমাদেরকে হয়রানি করে জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখার চেষ্টা করছেন। তাদের এ মিথ্যা ও বানোয়াট কথার তীব্র নিন্ধা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিমের ভাই মো. নয়ন ভূঁইয়া হাইমচরের শেষ সীমানায় ফরিদগঞ্জ রাস্তা সংলগ্ন নামীয় একটি ওয়াকসফ দোকান দিয়া সেখানে বিভিন্ন প্রকার মাদক বিক্রিসহ রাত ১১টার পর হতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অন্যায়মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করিয়া আসিতেছন। এমনকি তার মোটর সাইকেলে একটি ব্যাগে সর্বসময়ে বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র থাকে। প্রশাসক কর্তৃক সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
পরিশেষে আমি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আমরা রাহজানি, মারামারি, সংঘাত চাইনা। আমার বাবা যদি কারো কাছে জমি ক্রয় করে থাকেন তাহলে বুঝে নেন। অন্যথায় যারা আমার বাবার কষ্টজিত সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে রেখেছেন আপনাদের কাগজপত্র দেখিয়ে যে কোন ব্যক্তির মাধ্যমে বসুন সমাধানে আসি। আমাদের পক্ষ হতে কোনরূপ আপত্তি নেই। এহেন মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলে সমস্যা সমাধান হবেনা। আজ চাঁদপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত চাঁদপুর জেলার সকল সাংবাদিক ভাই ও বোনোরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মাধ্যমে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিম ও তার সহযোগী অর্থ দাতা মো: ফরিদ আহমেদসহ তাদের সকল মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন ও ভূমি জোবর দখল হতে রক্ষা করত: প্রশাসনের সৃ-দৃষ্টি কামনা করছি।
আমি আবারো অনুরোধ জানাচ্ছি হাইমচর উপজেলাধীন সম্মানিত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সুধিজন, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আপনাদের মাধ্যমে সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই। অন্যথায় আপনাদের মাধ্যম এই মাদক ব্যবসায়ীদের জুলুম নির্যাতন, জোরপূর্বক জমি দখলসহ সকল মিথ্যাচারের বিচার কামনা করছি।
মাদক ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিম ও মো. ফরিদ আহমেদের অত্যাচার ভুক্তভোগীরা হলেন- দক্ষিণ আলগী এলাকার মো. শরীফ হোসেন, মো. সহিদ মিজি, মো. নজুরুল ইসলাম, মো. আলমগীর হোসেন, ফাতেমা বেগম,
রেহানা আক্তার, সাথি বেগম, নাজমা বেগম, শাহনাজ বেগম, হালিমা বেগম, নুরজাহান বেগম, ইমাম হোসেন গাজী, মো. আলী শাহ, মো. রুবেল হোসেন, পারুল বেগম, রাহিমা বেগম, আন্না বেগম, ফিরোজা বেগম, আমেনা বেগম, জান্নাত বেগমসহ এলাকার আরো প্রায় ৫০/৬০ জন ভুক্তভোগী রয়েছে।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তেন সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান মাহবুবুর রহমান সুমনের পরিচালনায় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শরীফ চৌধুরী, এএইচএম আহসান উল্যাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জাকির হোসেন, দৈনিক আদি বাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক আরিফ রাসেল, দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের প্রধান সম্পাদক ইব্রাহিম রনিসহ আরো অনেকে।