বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। জনগণ মুক্তি পাবে। সরকার উপর্যুপরি মামলা ও সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। তিনি আওয়ামী লীগ নেত্রীর প্রতিহিংসার শিকার। তারা খালেদা জিয়াকে জিম্মি করে ক্ষমতা দখল করে আছে। খালেদা জিয়া অসুস্থ ও মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন। এটি হত্যার শামিল। আর এর দায়ভার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকেই বহন করতে হবে। এ অবস্থায় আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
রোববার (৩০ জুন) বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের গোডাউন রোড এলাকার বশির ভিলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত কৃষক দলের মতবিনিময় সভায় টেলি কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা কৃষক দলের ব্যানারে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আগামীতে আন্দোলনের জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়ে এ্যানী বলেন, আন্দোলনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সংগঠনকে গতিশীল করতে হবে। সংগঠনের মাধ্যমেই আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবো। আর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনা সম্ভব। খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে দেশের বুকের ওপর দিয়ে রেললাইনের অবৈধ চুক্তি হতো না। দেশে দুর্নীতি-দুঃশাসন হতো না। স্বৈরশাসন হতো না। তিনি মুক্ত থাকলে সার্বজনীন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকতো।
জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন।
জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ, জেলা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক আমির হোসেন চাষী, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান, ফখরুল আলম নাহিদ, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।