নির্ধারিত সময়ের ছয় বছর আগেই নবায়নযোগ্য শক্তির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে যাচ্ছে চীন। বলা হয়েছে, যে গতিতে কাজ চলছে তাতে ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা এ বছরই স্পর্শ করা যাবে। দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে।
ন্যাশনাল এনার্জি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনইএ) এর অধীনে কাজ করা চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, দেশটি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বায়ু শক্তি থেকে ৭০ গিগাওয়াট ও সৌরশক্তি থেকে ১৯০ গিগাওয়াট যুক্ত করবে।এনইএ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চীন ২১৭ গিগাওয়াট সৌর শক্তি ও ৭৬ গিগাওয়াট বায়ু শক্তি যোগ করে। এতে গত বছর পর্যন্ত দেশটির মোট সক্ষমতা দাঁড়ায় এক হাজার ৫০ গিগাওয়াটে।
বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কার্যক্রম ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে দেশটিতে নবায়নযোগ্য শক্তির সক্ষমতা পৌঁছাতে পারে এক হাজার ৩১০ গিগাওয়াটে, যা চীনের ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার ২০০ গিগাওয়াটকে ছাড়িয়ে যাবে।
গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের ক্ষেত্রে চীন অন্যতম বড় দেশ। তবে নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রেও দেশটি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। গত বছর নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে দেশটির অবদান ছিল ৬০ শতাংশ।সিআরইইআই এর মতে, চীনের বায়ু শক্তিখাত তুলামূলকভাবে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে, একই সঙ্গে সৌর শক্তিরখাতও প্রসারিত হবে।