মতলব-পেন্নাই আঞ্চলিক সড়কের নারায়নপুর এলাকা। এই এলাকায় অবৈধভাবে সড়কের নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ করে ড্রেজার পাইপ বসানো হয়েছে। শুরুতে পাইপ সড়কের ওপর ছিল। এতে প্রশাসন বাধা দিলে রাতের আঁধারে সুড়ঙ্গ করে পাইপটি সড়কের নিচ দিয়ে নেওয়া হয়। এতে করে সড়কটি ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ড্রেজার পাইপ স্থাপন করেছেন স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও বালু ব্যবসায়ী ফজলুল করিম সেলিম। তিনি লোকজন নিয়ে ড্রেজার বসিয়ে তার জমি ভরাট করছেন।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নারায়নাপুর বাজার সংলগ্ন নদীতে ড্রেজার বসানো। সেখান থেকে পাইপ দিয়ে বালু উত্তোলন করে জমি ভরাট চলছে। নারায়নপুর বাজারের ৫০০ গজ পশ্চিমে আয়েশা ছিদ্দিকা (রা.) বালিকা মাদরাসার পাশে সড়ক সুড়ঙ্গ করে পাইপ স্থাপন করা হয়। এমনভাবে পাইপটি স্থাপন করা হয়েছে যাতে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন দেখতে না পান।
সেখানে গেলে দেখা যায়, পাইপ লাইনের পাশে মাটি কাটার কাজ করছেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তারা জানান, এটি প্রথমে সড়কের ওপর ছিল। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই পথে চলার সময় পাইপ দেখে সরানোর নির্দেশ দেন। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নিলয় রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে জরিমানা করে পাইপ সরানোর ব্যবস্থা করেন। ওইদিন রাতেই সড়ক সুড়ঙ্গ করে পাইপ স্থাপন করা হয়। পাইপটি সরানোর পর গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আমার জমি ভরাট করা হলেও ড্রেজারের মালিক আমি না। এলাকার একজনকে দিয়ে ভরাট করছি। সড়ক সুড়ঙ্গ করার অনুমোদন নিয়েছেন কি না প্রশ্ন করা হলে প্রথমে অনুমোদন আছে এবং আবেদন করেছেন বললেও কিছুক্ষণ পরে অনুমোদন নেই বলে স্বীকার করেন।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার দায়িত্বে থাকা সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মারুফ হোসেন জানান, সড়কে সুড়ঙ্গের বিষয়টি দেখার জন্য আমাদের লোকজনকে বলেছি। আমরা এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবো।মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা বলেন, ওই স্থানে প্রথমে সড়কের ওপরে পাইপ ছিল। আমাদের সহকারী কমিশনার (ভূমি) গিয়ে জরিমানা করেছেন। সড়ক সুড়ঙ্গ করার বিষয়টি জানাছিল না। সড়ক বিভাগ থেকে আমাদের এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কিছু জানানো হয়নি। তবে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।