ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১০০ জনের বেশি।
অনুষ্ঠান শেষ হতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। পদদলিত হন অসংখ্য মানুষ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর যে হাথরাসের এক দলিত কিশোরীর গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা ভারত। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সেই হাথরাসের রতিভানপুরে সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান ছিল। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন শত শত ভক্ত। অনুষ্ঠান শেষে হঠাৎ বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
হুড়োহুড়ির মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেন অনেকে। তখনই পদদলিত হন বহু মানুষ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের।
যদিও সেখানের জেলা প্রশাসক আশিস কুমার জানিয়েছেন, তার কাছে এখন পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০ জনের মৃত্যুর খবর রয়েছে। মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা প্রশাসনের।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাথরাসের মুঘলাগড়ি গ্রামে এক স্থানীয় ধর্মগুরুর ‘সৎসঙ্গ’ বা ভক্ত সমাবেশে দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঠিক কীভাবে এমনটা ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে উত্তরপ্রদেশের সরকারের দুই মন্ত্রী ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন।হাথরসের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে একটি তদন্ত কমিটি ঘঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন আগ্রা কমিশনারেটের ডিজিপি।