বিএনপি-জামায়াতকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
গতকাল বেলা ১১টায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বিএনপি রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করে। হত্যা, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে তাদের জন্ম হয়েছে। একজন অবৈধ দখলদার সেনা শাসকের পকেট থেকে একটা সংগঠন কায়েম হয়েছে। তখন বিভিন্ন ধরনের লোকজন দিয়ে একটি দল তৈরি হয়েছে, তার নাম বিএনপি।
মন্ত্রী বলেন, সেই দলটা (বিএনপি) বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী। কিন্তু তারা বলতে চায় তারাও স্বাধীনতার পক্ষের লোক। যদি তাই হয়, তাহলে তারা কেন স্বাধীনতার বিপক্ষের লোকজন নিয়ে ঘোরে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেন বন্ধ করতে চায়। বিএনপি কেন আমাদের শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া লাল-সবুজের পতাকা তাদের গাড়িতে তুলে দেয় এবং মন্ত্রী বানায়। কাজেই এই বিএনপি-জামায়াতকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, আমরা ধ্বংসের রাজনীতি করি না, আমরা সৃষ্টির রাজনীতি করি। আমরা সন্ত্রাসের নয়, শান্তির রাজনীতি করি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সৃষ্টির রাজনীতি ও শান্তির পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
মন্ত্রী বলেন, যখন দেশে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক নারীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন চলছিল তখনই এই যুব মহিলা লীগ নামে সংগঠটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তখন থেকেই এই সংগঠন আন্দোলন সংগ্রামে জোরালো ভূমিকা পালন করেছে এবং সকল ধরনের নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা রাজপথে একটি নজির স্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে। বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতনের পরও তারা দমে জাননি। জাতীয় নির্বাচনের সময় তারা প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিত করেছেন। দেশের অর্ধেক ভোটার নারী। তাদের পেছনে ফেলে সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। শেখ হাসিনার কল্যাণে আজকে সকল পেশায় নারীরা এগিয়ে আছে। নারীরা তাদের যোগ্যতার মাধ্যমে প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছে। নারীদের শ্রম ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আলম মিল্টন, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান, যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির মিজি, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হায়দার সংগ্রাম,জেলা যুব মহিলা সভাপতি ফরিদা ইলিয়াছ প্রমুখ। আলোচনা শেষে মন্ত্রী অতিথিদের নিয়ে যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।