বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই মাস হলো আমাদের আমের মৌসুম। আর দেশে এখন দুর্নীতি ফাঁসের মৌসুম চলছে। আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠদের নাম প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে। আজিজ, বেনজীর, মতিউর, আবেদ আলীদের নাম গণমাধ্যমে ফাঁস হচ্ছে। কিন্তু এখনো রাঘব বোয়ালদের নাম আসেনি। সরকারের মধ্যে এখনো হাজারো আজিজ-বেনজীর রয়ে গেছে।
ওলামা দলের আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে শনিবার দুপুরে ওলামা দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রিজভী বলেন, ১৯৫ জন সফরসঙ্গী নিয়ে চীন সফরে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। শূন্য হাতে তিনি দেশে ফিরেছেন। চীনের কাছে ২০ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিলেন। ১ বিলিয়ন ইউয়ানের আশ্বাস পেয়েছেন। ২০ বিলিয়ন ডলার চেয়ে খালি ঝুড়ি নিয়ে ফেরত এসেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে কোটা বাদ দিলেন। শিক্ষার্থীরা কোটা বাদ নয়, সংস্কার চেয়েছিল। কিন্তু তিনি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কোটা বাদ দিয়ে এখন ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে আবার কোটা বহাল করলেন আদালতের মাধ্যমে। আদালত আর শেখ হাসিনার মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। শেখ হাসিনার কথার বাইরে কেউ এক পা যেতে পারে না। তিনি আদালতের মাধ্যমে আবার খায়েস পূরণ করলেন।
রিজভী বলেন, যে দম্পতির বিয়ে হয়েছে স্বাধীনতার পর, তার সন্তান নাকি এখন মুক্তিযোদ্ধা! এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরি দিতেই আবার কোটা বহাল করেছে সরকার। শুধু ছাত্রলীগকে চাকরি দিতেই তা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিমপ্রধান দেশ। এখানে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত আলেম ওলামারা নেতৃত্বে রয়েছেন। আলেম ওলামাদের বাদ দিয়ে কোনো ইতিহাস রচনা করা যাবে না। কিন্তু এই বর্তমান ডামি নির্বাচনের সরকার আলেম ওলামাদেরও নিপীড়ন থেকে রেহাই দিচ্ছে না। মসজিদের ইমামরাও বাদ যায়নি। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে কেউ মোনাজাত করলে তাকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে।ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হোসেনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আবদুল বারী ড্যানী, মাওলানা আলমগীর হোসেন, ক্বারী গোলাম মোস্তফা, দেলোয়ার হোসেন, নজরুল ইসলাম, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।