বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে চাঁদপুরে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি পালন করতে নেমে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ধাওয়া এবং হামলায় অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শিক্ষার্থীরা চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের ষোলঘর এলাকায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে তাদেরকে একাধিকবার ধাওয়া করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। ধাওয়া খেয়ে আবারও শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন শহরের বাসস্ট্যান্ড ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের সামনে। সেখানে তারা স্লোগান দিতে থাকেন।
বিকেল ৫টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবেশ করে। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন লাঠিসোঁটা দিয়ে শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শহরের পশ্চিম দিকে নিয়ে যায়। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলের বিপরীত দিকে অবস্থান করেন। শেষ মুহূর্তে পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে।আন্দোলনকারী ছাত্রীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদেরকে লাঞ্ছিত করেছে। তাদের চুল ধরে টানাটানি করেছে। পুলিশ থাকা সত্ত্বেও ছাত্রলীগের ছেলেরা তাদের গায়ে হাত দিয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর পুলিশের একাধিক গাড়ি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থল এবং পুরো শহরে টহল দেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল।
চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল এমরান খাঁন বলেন, ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে টহল জোরদার করা হয়েছে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনে এখন আর ছাত্ররা নেই। এখানে অন্য অনেকে ঢুকে গেছে। তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন ধরনের সরকারবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে এবং উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি তৈরি করছে। তাদের মধ্যে এখন কথা কাটাকাটি এবং ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ বিষয়টি বুঝতে পারছে আবার কেউ বুঝতে পারছে না। এমন অবস্থায় এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি এবং তাদেরকে চলে যাওয়ার জন্য বলেছি।