টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দরে কোটি কোটি টাকার পণ্য পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। বন্দরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের মধ্যে রয়েছে আমদানি করা বিভিন্ন ধরনের কাগজ, টেক্সটাইল ডাইস, বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, কাপড়, সুতাসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত কাঁচামাল।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দর এলাকার পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে বন্দর অভ্যন্তরে জমে ছিল। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে কালভার্টের নিচে রাখা মাটি ভেকু দিয়ে সরিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়।
বেনাপোল বন্দরের ৯, ১২, ১৩, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর শেডে গিয়ে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে প্রতিটি শেডে বৃষ্টির পানি থই থই করছে। শ্রমিকরা জগ, মগ, বালতি দিয়ে পানি নিষ্কাশন করছেন। এসব শেডে রক্ষিত পণ্য বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯ নম্বর শেড। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ৯ নম্বর শেডের ভেতরে প্রায় এক ফুট পানি ঢুকে নিচের সব মালামাল ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হওয়া মালামালের মধ্যে বেশিরভাগই বন্ডের মাধ্যমে আমদানি করা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্দরের ড্রেনগুলো বেশিরভাগ সময় ময়লা-আবর্জনা জমে বন্ধ হয়ে থাকে। ফলে টানা তিন দিনের বৃষ্টির পানি বন্দর থেকে বের হতে পারেনি। এছাড়া বন্দরের পাশে রেললাইনের নিচে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের কালভার্টের নিচে মাটি রেখে দেওয়ায় পানি বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পানি বের হতে না পেরে বন্দরের শেডে প্রবেশ করে।
এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী ও অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘স্থানীয় বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে নানা অব্যবস্থাপনার কথা বলে আসছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ সেগুলো আমলে নেয়নি। ফলে শতাধিক আমদানিকারক সব হারিয়ে পথে বসার উপক্রম। বিমা না থাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো ক্ষতিপূরণ দেন না।’বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বন্দরে উন্নয়নকাজ চলমান। এরমধ্যে ড্রেন সংস্কারের বিষয়টিও রয়েছে। এটি হলে জলাবদ্ধতা বিষয়টি আর থাকবে না।