কচুয়া উপজেলার জোয়ারীখোলা গ্রামে সম্পত্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে বসতঘর ভাংচুর করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে জোরপূর্বক জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর সিকদারের নেতৃত্বে হামলা ভাংচুর ও প্রতিপক্ষ খালেদ সিকদারের দখলীয় জায়গায় ঘর ভাংচুর করে ওই জায়গাসহ সীমানা প্রাচীর দিয়ে দখলের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে জোয়ারীখোলা গ্রামের আলী আরশাদ সিকদারের পুত্র মো. খালেদ সিকদার বাদী হয়ে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর সিকদারসহ ৯জনের নাম উল্লেখ ও ৭-৮জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাদীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জোয়ারীখোলা মৌজার ২৯৮ দাগে ৮ শতাংশ ভূমির মধ্যে কাগজে পত্রে ৬ শতাংশ দখল বুঝে পায়। বাকি এক শতক বাদ দিলেও অপর এক শতক ভূমি জাহাঙ্গীর সিকদার জোড়পূর্বক ঘর ভেঙ্গে গত ৩০ জুলাই সকালে ওই স্থানে চারদিকে সীমানা বেড়া টানিয়ে দেয়। এতে বাধাঁ দিলে জাহাঙ্গীর সিকদারের নেতৃত্বে মাসুদ, দিদার, সজিব, নিজাম, শামিম, কাইয়ুম, ফাহাদ, নোমানসহ বেশ কিছু উশৃঙ্খল লোকজন নীরিহ খালেদ সিকদার, তার স্ত্রী হাসবুন আক্তার, ভাই মাহবুব ও একই বাড়ির ইব্রাহীমের স্ত্রী পারভীন আক্তারকে বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীর সিকদারের সীমানার ভিতর তাদের এক শতাংশ জায়গা থাকলেও কোন প্রকার মাপযোগ না করেই তাদের আত্মীয় সাবেক পুলিশ সদস্য আজম সরকারের ক্ষমতাবলে ওই জায়গা বেড়া দিয়ে জোড়পূর্বক দখল করে নেয়।
এব্যপারে জাহাঙ্গীর সিকদার জানান, আমার সীমানার ভিতর ৪২ শতাংশ ভূমি রয়েছে। যাহা আমরা বহু আগে ক্রয় সূত্রে মালিক হই। ওই স্থানে ৪২ শতকের বেশি জায়গা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি। তবে বিষয়টি মাপযোগ করলে প্রকৃত ঘটনা সমাধান হবে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।